গাজীপুরের শ্রীপুরে ফরিদা ইয়াসমিন নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পিটিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে আত্নহত্যার নাটক সাজিয়েছে ঘাতক স্বামী অভিযোগ নিহতের স্বজনদের। ঘটনার পরপরই স্বামী পলাতক। নিহত নারী মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের দোয়াই বাড়ি, গ্রামের বগারভিটা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। 

নিহত গৃহবধূ ফরিদা ইয়াসমিন (৪৮) শ্রীপুর পৌরসভার লোহাগাছ গ্রামের আব্দুস ছামাদের স্ত্রী।

অভিযুক্ত আব্দুস ছামাদ (৫০) এর বাড়ি শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মধ্য বাংনাহাটি   ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী পলাতক রয়েছে। 

নিহতের বড়ভাই ফজলুল হক অভিযোগ করেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ঘাতক স্বামী আমার বোনকে পিটিয়ে খুন করছে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মুখে বিষ ঢেলে পালিয়ে যায়। আমার বোনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপর আশপাশের লোকজন মুখে বিষের গন্ধ পেয়ে তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বোনকে মারধর করতো তার ঘাতক স্বামী। পাষবিক নির্যাতন করছে অনেকবার। এরপর সামাজিক ভাবে সালিস বিচার করে বোনকে দেয়া হয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ শারমিন সুলতানা বলেন, ফরিদা ইয়াসমিন নামে এক নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে কয়েকজন। এরপর পুলিশে খবর দেয়া হয়েছে।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই সোহেল আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল হতে নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। এবিষয়ে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।