×
সদ্য প্রাপ্ত:
চৌহালীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি'র সমাবেশ চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ১ পরিবর্তন সম্ভব, পরিবর্তন চাই স্লোগানে রাজশাহীতে গণসংহতি আন্দোলন বরগুনায় ট্রাফির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের পিকনিক বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু অনুমোদন ছাড়াই ৫ বছর ধরে চলছে মেসার্স শানু ব্রিকস নামে ইটভাটা নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনারদের শপথ কাল ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘুষ প্রদান মামলার রায় স্থগিত সেবার ব্রতে চাকরি’ এই শ্লোগানে শেরপুর জেলার টিআরসি পদে নিয়োগ লক্ষ্যে প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত বরগুনায় সিঁধ কেটে নারীকে হত্যা
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-১৩
  • ৫৮ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্ণাঢ্য এক রাজনৈতিক জীবনের উজ্জল নক্ষত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহধন্য ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার নয়নমনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ। মুক্তাগাছা  উপজেলা আওয়ামী লীগ তথা সর্বসাধারনের সাথে যার রয়েছে আত্বার সম্পর্ক জননেতা আব্দুল হাই আকন্দ যিনি মটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।প্রায় ৩১৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ১টি পৌরসভা ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ।আগামী ২১ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরব আলী ,মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল করিম,উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাপ্পী ঘোষসহ আরও অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন। উপজেলাবাসির ধারনা যেই জয়ী হোক আব্দুল হাই আকন্দের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কেননা আবাল,বৃদ্ধ, বনিতা সর্ব সাধারন এর কাছে আব্দুল হাই আকন্দ একটি পরিচিত মুখ।জাতীয় প্রতীক নৌকা না থাকার কারণে মটর সাইকেল প্রতিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী বারবার কারা নির্যাতিত নেতা আব্দুল হাই আকন্দের পাল্লাই ভারি।গত ১২মে রবিবার ৮ নং দাওগাও ইউনিয়নের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ভোটারদের সাথে গণসংযোগ কালে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়।৮নং ইউনিয়ন যে সকল এলাকা গণসংযোগ করেন  তার মধ্যে দাওগাঁও, তাজপুর, পোড়াবাড়ি, বটতলা বাজার, শুশুতি, শিমুলতলী বাজার,কাঠবাওলা বাজার শেষ করে রাজাবাড়ি কেন্দ্রে এসে ভোটার ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভোট কেন্দ্রমুখি ভোটারদের উপস্থিতির সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে মত বিনিময় করেন।সরজমিনে বিভিন্ন ভোটারদের কাছে জানতে চাইলে বেশির ভাগ ভোটার কোন রাখ ঢাক না করেই  মোটরসাইকেল প্রতিকে ভোট দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।এর আগে এক সাক্ষাৎ কালে আব্দুল হাই বলেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই এলাকায় যেসব ফসল উৎপাদন হয় শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয় তাই  সবার আগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। তিনি আরো বলেন এর আগে তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন কিন্তু কোন মহলের বাধার কারণে উপজেলা বাসীদের পরিপূর্ণসেবা দিতে পারেন নাই। তিনি ১৯৯৩-১৯৯৯ ও ২০১১-২০১৬ টানা দুই মেয়াদে মুক্তাগাছা পৌরসভার  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।২০১৯-২০২৪ মুক্তাগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ আসন-১৫০ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক মনোনিত প্রার্থী হয়েও প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ  অনুযায়ী শরিকদলের জন্য আসনটি ছেড়ে দেন এবং সারা দেশে যে২৬ টি আসন নৌকার প্রার্থীরা শরিকদের জন্য ছেড়ে দেন তার মধ্যে একমাত্র তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন ।পরবর্তীতে প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাথে তার মেয়ে জান্নাতকে নিয়ে দেখা করতে গেলে প্রিয় নেত্রীর গভীর মমত্ববোধের কথা তুলে ধরেন।স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৬২শিক্ষা আন্দোলন ও ১৯৬৫ মুক্তাগাছা থানা ছাত্রলীগ এর প্রাথমিক সদস্য মনোনীত হন।১৯৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলনে ৭ জুন বাংলাদেশের শুধুমাত্র ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও মুক্তাগাছায় মিছিল হয় যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরবর্তীতে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। সেই মুক্তাছার মিছিলে খন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ্ মহোদয়ের নেতৃত্বে প্রথম সারির ছাত্রনেতা হিসেবে যোগদান করেন আব্দুল হাই আকন্দ।১৯৬৯  মুক্তাগাছা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে উনসত্তোরের গণঅভ্যুত্থানের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব দেন।

১৯৭২সনে মুক্তাগাছার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ প্যানেলর জিএস প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হলে ৩ মাস পলাতক থেকে  নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ মুক্তাগাছা পৌরসভা প্রাঙ্গনে জাতির জনক, তার পরিবার এবং জাতীয় ৪ নেতার গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে মুক্তাগাছার রাজপথ প্রদক্ষিণ করেন তিনি । সেই প্রতিকূল পরিবেশে  ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।১৯৮০ সালে মুক্তাগাছা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।১৯৮১ সালে গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তণ দিবসে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী সহ যোগদান করেন আনন্দ যাত্রায়।১৯৯০ এ স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ৬ মাস মেয়াদে ৩ বারেরও বেশি জেলে গিয়ে নির্যাতিত নেতা। এক/ এগারোর স্বৈরাচারী সেনা শ্বাসিত সরকারের কবল থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারা  মুক্তির জন্য মুক্তাগাছায় একমাত্র নেতা, যিনি রাজপথে স্থানীয় কর্মীদের সংগঠিত করে নেত্রীর মুক্তির জন্য নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলন করেন এবং স্থানীয় জনগণের ঘরবাড়ি,জানমালের হেফাজত করেন যা মুক্তাগাছার মানুষ এখনও শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে।১৯৮৩-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মুক্তাগাছা থানা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন।পারিবারিকভাবেই আওয়ামী পরিবারের লোক মেয়ে জান্নাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat