চলনবিল প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নে বিনসাড়া দক্ষিণ পাড়ায় কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মানে ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াই সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই চলছে মাটি খোড়াখুড়ি এবং রড বাধাই ও বিভিন্ন লেবারের কাজ।
গত ১ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে ঘটনা স্থলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় কমিউনিটি ক্লিনিক এর নামে স্থানীয় আঃ রাজ্জাক গত দুই মাস পূর্বে প্রায় ৮ (আট) শতক জমি দান করেন সেই জমিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কতৃক একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের অনুমোদন হয় এবং তাহা বাস্তবায়ন করতে ৮ (আট) এপ্রিল ২০২৪ তারিখে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও তা ৮/৯ দিন আগেই আইন অমান্য করে কোন ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াই মাটি খোড়াখুড়ির এবং রড বাধাই ও বিভিন্ন লেবারের কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে জমিদাতা আঃ রাজ্জাক বলেন আমি জমি দান করেছি এ পযন্তই জানি বর্তমানে আজ থেকে এখানে কে কাজ শুরু করছে তা আমি জানি না।
অন্য দিকে এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মোঃ শাহানুর ইসলাম এর কাছে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াই কে কাজ শুরু করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কোন ঠিকাদার নিয়োগ হয় নাই ওখানে কে কাজ করছে আমার জানা নাই। আবার বলেন জমিদাতা ও তার লোকজন কিছু কাজ করতে পারে। আরও বলেন বালি সিমেন্ট ও খোয়া দিয়ে যেদিন ঢালাই করবো সে দিন কাজ শুরু হবে।
আবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেন লে আউট এর কাজ চলছে তবে কে কাজ করলো বা করলোনা এটা আমার বিষয় না ক্লিনিক এর কাজ কমপ্লিট হলে আমরা কতৃপক্ষের কাছ থেকে সকল কিছু বুঝে নিবো এপযর্ন্তই।
এদিকে গত ১(এক) এপ্রিল আমরা কয়েকজন সংবাদ সংগ্রহকারী ঘটনা স্থলে গিয়ে কাজ চলমান আছে দেখে রড,সিমেন্ট, বালি,ইট, ও লেবার কতৃক মাটি খোড়াখুড়ির ভিডিও চিত্র তুলে আনা হয়েছে এবং জমিদাতা আঃ রাজ্জাক ও স্থানীদের বক্তব্য ধারণ করা হয়েছে।
এঅবস্থায় কমিউনিটি ক্লিনিক এর নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা কে করছে জানতে চায় দেশ,জাতি ও এলাকার সচেতন সমাজ। এবং এই কাজের অন্যায় অনিয়ম দূর্নীতির ছোবল থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুনজর জরুরী কামনা করেন এলাকার সচেতন মহল।
এ জাতীয় আরো খবর..