এএসএম হারুন, ফেনী:
ফেনীর লালপোলে সালমা আক্তার (২০) নামের পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে।
৩'রা নভেম্বর (রবিবার) দুপুরে ফেনী মডেল থানায় ভুক্তভোগী সালমা আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে ফেনী মডেল থানা পুলিশ অভিযুক্ত মোঃ শাহীন'কে (২৪) গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগী সালমা আক্তার বলেন, গত ২৬'শে অক্টোবর সন্ধায় তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে সোনাগাজী থেকে ফেনী লালপোল আসে। পরে লালপোল হক হোটেলের সামনে অভিযুক্ত শাহিনের সাথে পরিচয় হয় সালমার, পরিচয়ের একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর পারিবারিক কলহ এবং দুঃখ দুর্দশা কথা জানতে পারে অভিযুক্ত, তারই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শাহীন ভুক্তভোগীকে আশ্বস্ত করে তার এবং সালমার বাচ্চাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিবেন, ভুক্তভোগীর পাঁচ বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। শাহিনের সাথে কথা শেষ করে ভুক্তভোগী সালমা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে স্টার লাইন বাসে উঠেলে তার সাথে শাহিনও সেই একই বাসে উঠে, চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে সালমাকে ফুসলিয়ে চট্টগ্রামের বারইয়ার হাটে তাকে বাস থেকে নামিয়ে পুনরায় সালমাকে নিয়ে লালপোল চলে আসে শাহীন।
একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে সালমাকে লালপোল মাদ্রাসা রোড়ে কাশেমের বাড়ীর নিছ তলায় শাহিনের চাচা ফারুকের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাত ২টায় চাচার বাসায় সালমাকে ধর্ষন করে। ধর্ষনের পর ভোর ৫ টায় সালমাকে চট্টগ্রামের বাসে তুলে দেয় শাহীন, এরপরই লাপাত্তা হয়ে যায় অভিযুক্ত শাহীন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত শাহীন ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের আবুল হোসেন খোকনের ছেলে।
পরে ৩'রা নভেম্বর সালমার অভিযোগের ভিত্তিতে শাহীনকে লালপোল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, বিয়ের প্রলোভনে ভুক্তভোগী সালমা নামে এক নারীকে শাহীন নামে অভিযুক্ত ধর্ষণ করে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা মামলা রুজু করি এবং একেই দিন অভিযুক্ত শাহীন'কে ফেনী লালপোল থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হস্তান্তর করি।
এ জাতীয় আরো খবর..