নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌর ভূমি অফিসে একের পর এক বেরিয়ে আসছে ঘুষ দুর্নীতি।জানা যায় সিংগাইর পৌরসভার বিনোদপুর গ্রামের গৃহিণী লুৎফা বেগম ও তার জা সোনিয়া, ,৫২৪/পাঁচশত ২৪ টাকার খাজনা দিতে গেলে, সিংগাইর পৌর ভূমি অফিস এর নায়েব কামরুল হাসান বলেন ১৫০০০ টাকা না হলে, খাজনা নিতে পারবো না। অবশেষে নিরুপায় হয়ে লুৎফা বেগম ও সোনিয়া ৮০০০/আট হাজার টাকা দিয়ে, ৫২৪ টাকার খাজনা রশিদ নিয়ে চলে আসেন। ভুক্তভোগীরা বলেন, সিংগাইর পৌর ভূমি অফিসের এই অনিয়ম ঘুষ দুর্নীতি বন্ধের জন্য, প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ভুক্তভোগীরা বলেন সিংগাইর পৌর ভূমি অফিসের নায়েব মোঃ কামরুল হাসান,গত কয়েকদিন আগে, সিংগাইর পৌরসভার বিনোদপুর গ্রামে, ১০ ভাই বোনের সম্পত্তি দুইজনের নামে খারিজ করতে গিয়ে, ভাইয়ে ভাইয়ের সাথে মারামারি লাগিয়ে দিয়ে, এক ভাই আরেক ভাই এর আঘাতে আহত হয়েছেন, সেই সাথে এক ভাই আরেক ভাইকে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে আঘাত করতে গেলে, অনিচ্ছাকৃত ভুলবশত সেই প্লাস্টিকের চেয়ারের আঘাতে, নায়েব মোঃ কামরুল হাসান ও আহত হন। পরবর্তীতে ১০ ভাই বোন ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে মিলে যান। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, সিংগাইর পৌর ভূমি অফিসের নায়েব মোঃ কামরুল হাসান, নিজে বাদী হয়ে, মামলা দায়ের করেন, সে মামলায় জোরপূর্বক বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে দুই ভাইকে দিয়ে, অন্য ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য স্বাক্ষর ও রেকর্ডিং বক্তব্য নেন। সিংগাইর পৌরসভার বিনোদপুর নয়াপাড়া গ্রামের,দিনমজুর অসহায় কৃষক আজিম উদ্দিন বলেন,পৌর ভুমি অফিসের নায়েব মোঃ কামরুল হাসান আমার ১০+১০ শতাংশ কৃষিজমি থেকে সাড়ে পাঁচ শতাংশ জমি, মমতা, তুষার জাহিদের নামে খারিজ করে দিয়ে, আমাকে ও মামলায় ফেলেছে। আমি নায়েব মোঃ কামরুল হাসান এর বিচার চাই, বিচার চাই। দিনমজুর অসহায় কৃষক আজিম উদ্দিন বলেন,ওই দুই মহিলার নিকট, ৫২৪ টাকার খাজনা, ১৫০০০ টাকা চান, আমি নিজে কানে শুনেছি। ঐদিন নায়েব অফিসে আমার ওই সমস্যা নিয়ে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে সিংগাইর পৌর ভূমি সহকারি (নায়েব) মোঃ কামরুল হাসান কে জানালে, অস্বীকার করেন।সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, তথ্য আমার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান আমি দেখতেছি।
এ জাতীয় আরো খবর..