নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়নের, পংতিরছা বাজার হতে, সামনে গিয়ে লাউতারা কালিগঙ্গা নদী এবং চরমাস্তল মৌজায় ডাঃ আবু তাহের এর ডাঙ্গা হতে ভেকু দিয়ে রাতের আঁধারে ৩০ থেকে ৩৫টি ড্রাম ট্রাক দিয়ে, বিভিন্ন স্থানে মাটি পাচার করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করার বিষয় জাতীয় দৈনিক সোনালী কন্ঠ সহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় নিউজ করে, দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর পরে, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা আর ও বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায় জিয়নপুর ইউনিয়নের পংতিরছা বাজারের সামনে গিয়ে লাউতারা কালিগঙ্গা হতে সরকারি আইন অমান্য করে ভেকু ও ড্রেজারের মাধ্যমে ড্রেজার পাইপ ও অগণিত ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু পাচার করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছেন অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী পিন্টু খান,পারভেজ, রেজাউল এবং রাজিব। অপরদিকে চকমিরপুর ইউনিয়নের চরমস্থল মৌজায় ডাক্তার আবু তাহের এর ডাঙ্গা হতে ভেকু দিয়ে রাতের আঁধারে অগণিত ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পাচার করে কোটিপতি বনে গেছেন,চক মিরপুর ইউনিয়নের হাসান মেম্বার, জাকির হোসেন মেম্বার, আশরাফুল আলম মিন্টু মেম্বার,মিন্টু মেম্বার, রহমান মেম্বার, মান্দারতার লেবু মিয়া এবং সিজান সহ অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ২৫ জন অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী। সাধারণ মানুষের নিকট থেকে জানা যায়, রাতের আঁধারে মাটিব্যাবসায়ীরা রাতভর ভেকু দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫টি ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু মাটি, তিন ফসলী কৃষি জমির উপর দিয়ে, গ্রামীণ রাস্তাঘাট বিনষ্ট করে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করে ,দৌলতপুর সহ বিভিন্ন স্থানে মাটি পাচার করছেন, ফলে তিন ফসলী কৃষি জমি, গ্রামীণ রাস্তাঘাট ব্যাপক ক্ষতি করে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করছেন। এছাড়া রাস্তার দুই পাশের রোজাদার মানুষ, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিশু বাচ্চা, সারারাত ঘুমাতে না পেরে, অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় ড্রাম ট্রাকের বালু ভর্তি মাটি সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি ধুলোবালি দিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলছে। এ বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের মূল হোতা চক মিরপুর ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার জাকির হোসেন বলেন, ইউএনও এসিল্যান্ড এর নিকট থেকে অনুমতি নেওয়া আছে। দৌলতপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফয়েজ উদ্দিন বলেন ইউনিয়নের মেম্বাররা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় প্রশাসনের একজন রক্ষক।রক্ষক যদি ভক্ষক হয়,ইউনিয়ন বাসি, দেশ ও জাতি এদের কাছ থেকে কি আশা করতে পারে? তিনি আরো বলেন আমরা দ্রুত অভিযান করে ব্যবস্থা নিব। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, গত কয়েকদিন আগে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করার পর শুনলাম আবার ও চালু হয়েছে , দ্রুত মোবাইল কোর্ট করে ব্যবস্থা নিব।
এ জাতীয় আরো খবর..