ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়ীয়া আজাহারিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষাকার্যক্রম ও পাঠদান। ভবনের জরাজীর্ণ দশায় যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন আছে আতঙ্কে তেমনি শিক্ষক ও অভিভাবকরাও রয়েছেন দুন্ডিন্তায়। একাধিকবার সংশ্লিষ্ট বিভাগে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ঝুঁকির মধ্যেই মূলভবনে পরিচালিত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।
সরেজমিনে উত্তর ভিটাবাড়ীয়া আজাহারিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, ভবনটি একদিকে হেলে পড়েছে। ভবনটিকে রক্ষার জন্য বাঁশ ও গাছ দিয়ে ঠেকানো হয়েছে। মাদ্রসার ভবনটি ২ বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। পুরাতন এ ভবনের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের বেহাল দশা। ভবনের কোথাও বড় ফাটল ধরে বেড়িয়ে এসেছে রড, আবার কোথাও খসে পড়ছে পলেস্তা। শিক্ষকরা ভয় ও আতঙ্কে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পাঠদান দিয়ে আসছে শিক্ষার্থীদের।
উত্তর ভিটাবাড়ীয়া আজাহারিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রসার দশম শেণির শিক্ষার্থী মরিয়াম আক্তার ইভা বলে, ক্লাস করার সময়ে আমাদের মাথার ওপরে ছঅদের পলেস্তা খসে পড়ে। এতে ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে আমরা ক্লাস করছি।
মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিল্লিতি আক্তার বলে, আমাদের মাদ্রাসার এক কক্ষে দুটি শ্রেণির পাঠদান করানো হয়। এতে আমাদের পড়াশোনায় অনেক সমস্যা হয়। পাশের ভবনটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।
উত্তর ভিটাবাড়ীয়া আজাহারিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রসার সুপার একে এম আলাউদ্দিন বলেন, শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি আমাদের অফিস কক্ষের অবস্থাও জরাজীর্ণ। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে শিক্ষকরা। নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে আমাদের পাঠদানে আরও গতি বাড়বে। শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় আমাদের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাইনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ওই মাদ্রাসার এ অবস্থার কথা আমার জানা নেই। মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..