নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের সাধারণ কৃষকরা, ইউএনও, এসিল্যান্ড এবং ডিসি অফিসে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটার অভিযোগ দিয়েও রক্ষা করতে পারেনি ।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের ক্রেষ্টির চকে সোনাতলা মৌজায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সরকারি আইন অমান্য করে তিন ফ্সলি কৃষি জমির মাটি কেটে কৃষকদের পথে বসাচ্ছেন অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী হাজী বক্কর, জাহিদ,আক্কাস আলী নামের ভূমি দস্যরা। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী হাজী বক্কর, জাহিদ, আক্কাস সরকারি আইন অমান্য করে তিন ফাসলি কৃষি জমির মাটি কাটার ফলে, কুল হারা কৃষক আব্দুল কুদ্দুস এর চল্লিশ শতাংশ তিন ফসলি কৃষি জমি ভেঙে যাওয়ার পথে। শুধু তাই নয় ইরি ধানের প্রজেক্ট মালিক বলেন, ওইখানে তিন ফসলি কৃষি জমি মাটি কাটার ফলে , ২০ থেকে ২৫ বিঘা রপনকৃত ইরি ধানের জমিতে সেচ দিয়েও সেচ জমিতে থাকছে না। ২০ থেকে ২৫ বিঘা রোপনকৃত ইরি ধানের কৃষক কৃষানীরা বলেন, আমাদের এই জমির ধানের চাউল খেয়ে বেঁচে থাকতে হয়, কিন্তু এইখানে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটায়,ধানের জমিতে সার যুক্ত পানি ডোবায় চলে যাচ্ছে, আমরা সারা বছর কি খেয়ে বাঁচবো , আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে, আমাদেরকে বাঁচান । সাধারণ কৃষকরা বলেন অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী হাজী বক্কর জাহিদ, আক্কাস নামের ভূমি দস্যুরা আমাদেরকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে। সাধারণ কৃষকরা এবং কুলহারা কৃষক আব্দুল কুদ্দুস আরো বলেন, আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারিনা,তারপরেও মানিকগঞ্জ সদর ইউ এন ও, এসিল্যান্ড অফিস,ডিসি অফিসে অভিযোগ দিয়েও আমাদের শেষ সম্বল রক্ষা করতে পারিনি। আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে আমরা এখন ক্ষতিপূরণ চাই,আপনারা প্রশাসনকে জানিয়ে একটা ব্যবস্থা নিন। এ বিষয়ে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী হাজী বক্কর কে ফোন করে জানালে, হাজী বক্কর বলেন ওই মাটি কাটার সাথে আমি জড়িত নই। জাহিদ ও আক্কাস কে ফোন করে পাওয়া যায়নি।ভুক্তভোগীদের অভিযোগের বিষয়ে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউ এন ও) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট লিটন ঢালীকে ফোন করে জানালে, তিনি বলেন জনবল কম থাকার কারণে, আমরা সময় মত যেতে পারিনি। এখন জানলাম অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিব।
এ জাতীয় আরো খবর..