নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় ৩৩ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে।দিন যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনে প্রার্থীরা নিজেদের জয়ের ব্যাপারে আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠছে।জমজামাট নির্বাচন পরিলক্ষিত হচ্ছে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে।এখানে বিভিন্ন সময় অধিক সংখ্যক প্রার্থী থাকলেও এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক দুজন কাউন্সিলর।গত নির্বাচনে ১৭ নং ওয়ার্ডে কামাল খান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন,নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর মোঃ নজরুল ইসলাম ।নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই শুরু হয়ে যায় বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী। বাদ যায় নাই ময়মনসিংহ নগরীর ঘনবসতিপূর্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ১৭ নং ওয়ার্ড। করোনা সংকটকালীন সময়ে পাশে দাঁড়াতে গিয়ে নিজেও বারবার পরিবারসহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাই বলে ঘরে বসে থাকেননি।করোনায় মৃত্যুবরন করেছে তার সহধর্মিনী।করোনা কালীন সময়ে হ্যান্ডসেনিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ,সচেতনতা বৃদ্ধি,নিজস্ব অর্থায়নে ২২ শত পরিবারের মাঝে চাউল, ডাল, তৈল,আলু সরবরাহ করেছেন।অসহায় ও নিম্নআয়ের পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন।আরসিসি ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের ফলে এলাকার জলাবদ্ধতা হ্রাস পেয়েছে।এলাকার প্রতিটি বিদ্যুৎ খুটিতে আধুনিক এলইডি বাতি, ফলে এলাকা হয়েছে আলোকিত।এখন আর রাস্তার মধ্যে ময়মলা ফেলতে হয়না ডাস্টবিনও নেই,বাসা থেকে প্রতিদিন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এসে ময়লা নিয়ে যায়।কামাল খানের বড়ো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান ছিলেন বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহভাজন হওয়ার সুযোগ হয়েছিল তার।কামাল খান একজন নিবেদিত সমাজ কর্মী। তিনি আশা প্রকাশ করেন করোনা কালীন সময়ে তিনি যেভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন ১৭ নং ওয়ার্ডবাসি তার পাশে থাকবে।প্রচার প্রচারনায় দুজন প্রার্থী দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।প্রতিদিনই চলছে এলাকায় স্কট মিছিল ঘরে ঘরে গনসংযোগ ভোটারদের ভোট,দোয়া ও সহযোগীতা চাওয়া।
এ জাতীয় আরো খবর..