ইব্রাহিম মুকুট ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২০২৪ এর আওতায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের অংশগ্রহণে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, বিভাগীয় কার্যালয়, ময়মনসিংহ এর আয়োজনে জেলা পরিষদ এর সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), পরিকল্পনা, গবেষণা ও উন্নয়ন এর এ.কে.এম আব্দুল্লাহ খান । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ড. মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, পরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, বিভাগীয় কার্যালয়, ময়মনসিংহ, মোঃ ফারুক হোসেন, পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ,নিলুফা আক্তার, উপপরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, বিভাগীয় কার্যালয়সহ, বিভিন্ন কার্যালয়ের দপ্তর প্রধানগন, উপজেলা পর্যায়ের অফিসারবৃন্দ এবং প্রিন্ট মিডিয়া ও গণমাধ্যম কর্মী।
স্বাগত বক্তব্যে বিভাগীয় পরিচালক বলেন, অংশীজনের অংশগ্রহণে এ সভার অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের সেবাসমূহ গুলো আপনাদের অবহিতকরণ করা। যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি দপ্তরে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দগণ বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সেবাসমূহ ব্যাপারে জানতে পারেন এবং একইসাথে সেবাসমূহ ভোগ করতে পারেন। সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, আমাদের লক্ষ্য প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সেবা প্রধানের লক্ষ্যে বোর্ডকে একটি দক্ষ, যুগোপযোগী ও তথ্য-প্রযুক্তিসমৃদ্ধ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা। যাতে বিভিন্ন সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের অসামরিক কাজে নিয়োজিত বোর্ডের অধিক্ষেত্রে সকল কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গের কল্যাণ সাধনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা যায়। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যেই আপনারা বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড এর বিভিন্ন সেবাসমূহ বিষয়ে অবগত আছেন। তবে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেবা সমূহ যেমন:সাধারণ চিকিৎসা অনুদান, মাসিক কল্যাণ অনুদান, যৌথবীমার এককালীন অনুদান, দাফন/অন্ত্যোস্টিক্রিয়ার অনুদান, জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদান এর সুস্পষ্ট ধারণা আপনাদের মাধ্যমে সকল দপ্তর এবং উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীদের জানাতে চাই। এ সময় তিনি জানান, বর্তমানে যৌথবীমার এককালীন অনুদান ২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হলেও। ইতিমধ্যে এই অনুদানটি ৪ লক্ষ টাকা করার জন্য প্রস্তাবিত করা হয়েছে। সাধারণ চিকিৎসা অনুদানের ক্ষেত্রে প্রতিবছর একবার সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান পেতে পারেন। যা কর্মচারী নিজের জন্য আজীবন এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য কর্মচারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত এ অনুদান প্রদান করা হয়।অক্ষম জনিত কারণে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর ক্ষেত্রে নিজে এবং কর্মরত/অবসর অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর ক্ষেত্রে তার পরিবারকে কর্মচারীর বয়স ৬৯ বছর বা অনূর্ধ্ব ১৫ বছর পর্যন্ত যেটি কম হয় তার ভিত্তিতে প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা করে কল্যাণ ভাতা কেন্দ্রীয়ভাবে ইএফটি মাধ্যমে প্রদান করা হয়। কর্মরত ও পিআরএল ভোগরত কর্মচারী শুধু নিজের জটিল ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা ব্যায় বাবদ সমগ্র চাকুরি জীবনে এক বা একাধিকবার সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা অনুদান পেতে পারেন।এ অনুদান শুধু বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ঢাকা হতে প্রদান করা হয়। এ সময় তিনি সেবাসমূহ গুলোর সুবিধা ভোগ করার লক্ষ্যে গ্রাহকদের আত্মবিশ্বাস ও সততার মাধ্যমে আবেদন করার আহ্বান জানান।
এ জাতীয় আরো খবর..