নিজস্ব প্রতিবেদক: সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের, বড় বাকা গ্রামের অসহায় দরিদ্র কৃষক কহিনুর শেষ সম্বল ৪০ শতাংশ তিন ফসলি কৃষি জমির উপর দিয়ে, জোর করে রাস্তা নির্মান করছেন, বলধারা ইউনিয়নের মেম্বার, আশিক রহমান সাইদুর, জোর করে, চল্লিশ শতাংশ জমির উপর দিয়ে, রাস্তা করার নামে, দশ শতাংশ জমি ক্ষতি করে, প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত করে ভুক্তভোগী কৃষককে পথে বসিয়েছেন। ভুক্তভোগী অসহায় কৃষক,কহিনুর নিরুপায় হয়ে, সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, মোঃ আব্দুল কাইয়ুম খান এবং সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসুর নিকট, ক্ষতিপূরণ চেয়ে, জোর করে রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করার, অভিযোগ দায়ের করেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি),ভুক্তভোগীদের স্থায়ী কোনো সমাধান না দিয়ে,দায় সারা সমাধানের জন্য, বল ধারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিকট পাঠিয়ে দেন। বল ধারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ক্ষতিপূরণের কোন সমাধান না দিয়ে, রাস্তা বন্ধের কাজ সাময়িক বন্ধ করে দেন।কুল হারা কৃষক, নিরুপায় হয়ে মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি,সাংবাদিক আবুল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক স্বাধীন সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে অবহিত করলে,১৮/০২/২০২৪ ইং তারিখে ভুক্তভোগীদের সিংগাইর ইউএনও এবং এসিল্যান্ড অফিসে আসতে বলেন।ভুক্তভোগীরা সিংগাইর ইউ এন ও এবং এসিল্যান্ড অফিসে আসেন, সাথে মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি দৈনিক গণকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার আবুল হোসেন এবং মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দৈনিক স্বাধীন সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ইউএনও এবং এসিল্যান্ড অফিসে আসেন। ইউ এন ও এবং এসিল্যান্ড, মানিকগঞ্জ ডিসি অফিসে থাকায়, দুই সাংবাদিক ইউ এন ও, এসিল্যান্ড অফিসের সামনের মাঠ পার হওয়ার সাথে সাথে, ডাকাত দলের সদস্য গ্রেফতারকৃত, থানার নথি চুরি করতে গিয়ে আটক এবং প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পার না হয়ে ও, সিংগাইর প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোবারক ওরফে মোবা ও তার সহযোগীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করলে, মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি আবুল হোসেন, আত্মরক্ষার্থে মোবারক এর কলার ধরে ঘুরিয়ে, দৌড়ে একটা অফিসে আশ্রয় নেন। আশ্রয় নিয়ে প্রথমে সম্পাদক স্যার, কে ফোন করে জানালে, তাৎক্ষণিক সম্পাদক স্যার সিংগাইর সার্কেল এসপি কে অবহিত করলে, সিংগাইর থানা পুলিশ পাঠিয়ে, সাংবাদিকদের থানায় নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে থানা কর্তৃপক্ষ, দুই সাংবাদিককে ইউ এন ও অফিসে পাঠিয়ে দেন। সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু এবং সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল কাইয়ুম খান, দুই সাংবাদিক কে সিংগাইর উপজেলার তিন ফসলী কৃষি জমি এবং উপজেলার পৌর ভূমি অফিস সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অনিয়মের নিউজ করা নিয়ে, হুমকি ধামকি সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব দিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দেওয়ার ভয় ভীতি দেখিয়ে বলেন। আমি ইউএনও হিসেবে সিংগাইরে যতদিন আছি, আপনারা দুই সাংবাদিক সিংগাইরে ঢুকবেন না, ৩ ফসলী কৃষিজমি ধ্বংস হওয়ার কোন নিউজ করতে পারবেন না,সিঙ্গাইর উপজেলার ভূমি অফিসের কোন অনিয়ম নিয়ে নিউজ করতে পারবেন না। মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকা গেলে, সিংগাইরের রাস্তা দিয়ে যাবেন না,এই মর্মে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে, স্বাক্ষর দিয়ে চলে যাবেন। না হলে উপজেলার সকল নায়েব দিয়ে আপনাদেরকে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে,বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেব। দুই সাংবাদিক ভয় পেয়ে নিরুপায় হয়ে, তাদের মনগড়া লিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে, ইউএন ও অফিস থেকে বের হয়ে, দৈনিক স্বাধীন সাংবাদের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক সাহেব কে অবহিত করলে, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসককে ঘটনাটি জানাতে বলেন। ২ সাংবাদিক মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহানা আক্তার কে, নিন্দনীয় ঘটনা সম্পর্কে জানালে, জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার বলেন, আমি দেখতেছি। সম্পাদক স্যার, সাংবাদিক আবুল হোসেন এর নিকট সার্বিক ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে,মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি ও দৈনিক গণকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার আবুল হোসেন, সম্পাদক স্যারকে বলেন,মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা তিন ফসলি কৃষি জমি অনেক উর্বর, সিংগাইরের মাটিতে গাজর সহ তিন থেকে চারটি ফসল উৎপন্ন হয়। তার মধ্যে যে পরিমাণ গাজর উৎপাদন হয়, সারা বাংলাদেশের ৪০% চাহিদা মেটায় গাজর। এরই ধারাবাহিকতায়, তিন ফসলী কৃষি জমি রক্ষায়, গণকন্ঠ পত্রিকায়, অসংখ্য নিউজ করেছি এবং সর্বশেষ সিংগাইর পৌর ভূমি অফিসের অনিয়ম নিয়ে নিউজ করা হয়েছে, এই এসব নিউজ করার কারণে, সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি, ক্ষিপ্ত হয়ে, কিছু সাংবাদিকের সহায়তায়, এই অঘটন ঘটান। দৈনিক স্বাধীন সংবাদ এর সম্পাদক স্যার, আনোয়ার হোসেন আকাশ তার প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক স্বাধীন সংবাদ এর স্টাফ রিপোর্টার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের নিকট, মূল ঘটনা জানতে চাইলে, একই কথা বলেন। এখন দুই সাংবাদিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা সহ,সাংবাদিক নামের অপসংবাদিকদের দিয়ে, মিথ্যা অপপ্রচার করে, দুই সাংবাদিককে মানহানি করেন। যার ফলে ইউএনও এসিল্যান্ড সহ ফেসবুক ও অবৈধ অনলাইনে অপপ্রচারকারীদের বিচারের দাবিতে, দুই সাংবাদিক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে, সিংগাইর উপজেলার তিন ফসলী কৃষিজমি রক্ষা এবং উপজেলার তিন ফসলি কৃষি জমি ধ্বংসের মূল হোতা, সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু এবং সিঙ্গাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল কাইয়ুম খানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে। সিংগাইরে প্রায় ৪০% ফসলি কৃষি জমি বিলীনের পথে, এখন ও উপজেলার ২০ থেকে ৩০ টি জায়গায় তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি কাটা চলমান আছে বলে জানা যায়। গাজর উৎপাদনের উপজেলা হিসেবে পরিচিত , সিংগাইর উপজেলার কৃষি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কাটা, অদৃশ্য কারণে বন্ধ হচ্ছে না।
এ জাতীয় আরো খবর..