মোঃ এমদাদুল হক , নিজস্ব প্রতিনিধি
০৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫, জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন উপলক্ষে মোজাম্মেল হক মাস্টার পাঠাগার, পিটিআই গেইট, ফুলবাড়িয়া, জামালপুরে এক আলোচনা সভা ও সনদ বিতরণ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা এবং জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোজাম্মেল হক মাস্টার পাঠাগারের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ এনামুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক এম এইচ মজনু মোল্লা ও জামালপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ জনাব মনিরুজ্জামান। এছাড়াও জামালপুরের সুপরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দি প্রাইম প্রি-ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
আলোচনা সভায় বই পড়ার উপকারিতা এবং পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তোলার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর সমাজে বই পড়ার অভ্যাস ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মৌলিক জ্ঞান অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। তাই পাঠাগার ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং পাঠ্যবহির্ভূত বই পড়ার মাধ্যমে চিন্তার পরিধি বৃদ্ধি করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে অনুষ্ঠানে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যেখানে সাম্প্রতিক ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশ্ন করা হয়। সঠিক উত্তরদাতা শিক্ষার্থীদের পুরস্কার হিসেবে বই প্রদান করা হয়, যা তাদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তোলে।
অনুষ্ঠানের শেষ অংশে সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে সাম্প্রতিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি, ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝেও পুরস্কার হিসেবে বই উপহার দেওয়া হয়। বক্তারা প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে প্রযুক্তি ও দক্ষতার উন্নয়নের জন্য পাঠ ও প্রশিক্ষণের সমন্বয় করার আহ্বান জানান।
পরিশেষে আপ্যায়নের মাধ্যমে এই জমকালো ও জ্ঞানগর্ভ প্রোগ্রামটি সমাপ্ত হয়। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপনের এই আয়োজন সকল অংশগ্রহণকারীর মাঝে বই পড়ার প্রতি নতুন আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের আশা ব্যক্ত করা হয়, যাতে আরও বেশি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।