কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামে ফসলি জমি ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে ইউনুছ ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ তিন বছর ধরে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে ফসলি জমির মাটি কাটছেন তিনি, যার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, জীবিকার সন্ধানে বিদেশ পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউনুছ ভূঁইয়া। তবে সেখানে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরে আসার পর প্রথমে মাছের প্রজেক্ট ও পরে ফলের চাষে যুক্ত হন। বর্তমানে তিনি ১৮ একর জমিতে কুমিল্লার বৃহত্তম ফলের প্রজেক্ট পরিচালনা করছেন, যেখানে বড়ই, মাল্টা, লেবু সহ নানা জাতের ফল চাষ করা হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ইউনুছ ভূঁইয়ার ফলের প্রজেক্টে নিয়মিত উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার যাতায়াত রয়েছে। প্রশাসনের এই আনাগোনায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। শুরুতে সামান্য জমিতে ড্রেজার বসালেও, গর্ত বড় হতে থাকায় পাশের জমি ধ্বসের মুখে পড়ে। এ সুযোগে কৃষকদের নামমাত্র দামে জমি কিনে নিচ্ছেন তিনি। কেউ জমি বিক্রি না করলে ভয়ভীতি দেখানো হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক বলেন, ইউনুছ ভূঁইয়ার ভয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে পারি না। আমাদের ফসলি জমি জোর করে কিনে নিচ্ছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, যাতে আর কোনো কৃষিজমি নষ্ট না হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনুছ ভূঁইয়া বলেন, পানির সমস্যার কারণে নিয়মিত ড্রেজার চালাতে পারি না। আমি ড্রেজার বসিয়েছি পরিত্যক্ত জায়গায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুর রহমান বলেন, ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা, যাতে ফসলি জমি রক্ষার পাশাপাশি অবৈধ ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ করা যায়।