×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০২-০৪
  • ১১ বার পঠিত

রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ



ধর্ষণ পূর্বক হত্যা মামলার বাদী শামীম, তদন্তকারী এসআই এর বিরুদ্ধে এজাহার পরিবর্তন ও আলামত নষ্টের অভিযোগ জানালেন।


নারী ও শিশু মামলার বাদী মোঃ শামীম (২৫), পিতা-মোঃ টিয়া আলম, মাতা -মোসাঃ রঙ্গিলা, সাং–পশ্চিম বালিয়া, আদর্শগ্রাম, থানাঃ কাশিয়াডাঙ্গা, মহানগর রাজশাহী তৎকালীন কাশিয়াডাঙ্গা থানায় কর্মরত এক এসআই ও ওসির বিরুদ্ধে মামলার এজাহার তার কথিত মতে না লিখা এবং প্রদেয় আলামত জব্দ তালিকায় না তোলাসহ আলামত নষ্টের অভিযোগ জানালেন।


মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায় গত ০৯/০৭/২০২২ ইং তারিখে বেলা আনুমানিক  ১:০০ ঘটিকায় বাদীর বড় মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে  ছাত্রী মোসাঃ সামিরা জান্নাতুন ফেরদৌস(১১) কে একদল মানুষরূপী পশু গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে ধর্ষিতার নিজ বসত বাড়িতে। ঘটনার সময় বাদী শামীম ও তার স্ত্রী মোসাঃ নাদেরা বেগম বাড়ীর বাইরে ছিলেন।


বাদী বলেন সে একজন নিরক্ষর ব্যক্তি, মামলা দায়ের কালে ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পেটোয়া বাহিনী থানার পুলিশ অফিসার মাত্র দুই জনকে আসামী করে এজাহার দায়ের করেন। বাদীকে এজাহারটি পাঠ করে না শুনিয়ে তার স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। যাহা কাশিয়াডাঙ্গা থানার মামলা নং – ২৩, তারিখ ২৩/০৭/২০২২ ইং, ধারা : ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩,২০২০) এর ৯(২)/৩০, জি আর নং – ১৯০/২২(কাশিয়া)।


বাদী শামীম বলেন, ঘটনার তারিখ ০৯ হলেও অজ্ঞাত কারণে ২৩/০৭/২০২২ ইং তারিখে এজাহার গ্রহণ করা হয়। এই বিলম্বের কারণ কি তা জানা নেই।


বাদী আরও জানান, আলামত জব্দের সময় বাদী ধর্ষিতার পরণের সালোয়ার কামিজ, পাজামা, রশি জমা দিলেও তা জব্দ তালিকায় লেখা হয়নি। সেখানে শুধু ধর্ষিতার কামিজের এক টুকরো ছেঁড়া কাপড় লিখা হয়। এবং অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে আলামত নষ্ট করে অনেক দেরীতে ফরেনসিক টেস্টের জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। পর পর দুইজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাটি অপমৃত্যু দেখিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। আসামিদের পক্ষ হতে তদন্তকারী এসআই বিষয়টি আপোষের জন্য ২০ লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেন। তখন বাদী তৎকালীন মাননীয় পুলিশ কমিশনারের স্মরণাপন্ন হলে পিবিআই তদন্ত করে এজাহারভুক্ত দুইজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। আগামী ০২/০২/২০২৫ ইং তারিখে নারী ও শিশু ১ আদালতে নারাজি দাখিলের জন্য দিন ধার্য্য আছে বলে জানান।


প্রকাশ থাকে যে, বাদী শামীম ন্যায় বিচারের স্বার্থে সত্য ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ করার আবেদন করেন। তৎপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান চলছে। এই নিয়ে গণমাধ্যমের বেশ কিছু সাংবাদিক কাজ করছে। অচিরেই প্রকৃত সত্য জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। তাই গোপনীয়তার স্বার্থে কোন পুলিশ কর্মকর্তার নাম লিখা হয়নি।


নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat