মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ.টি.এম জিল্লুর রহমানকে দলের প্রভাব দেখিয়ে মুঠোফোনে হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন নজরুল ইসলাম বাচ্চু নামের এক শিক্ষক। হুমকিদাতা ওই শিক্ষক উপজেলার চৌরাট শিবপুর বরেন্দ্র ডিগ্রী কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কথোপকথনের কল রেকর্ডিং এ নজরুল ইসলাম বাচ্চুকে বলতে শোনা যায়, "আপনার কপাল ও ভাগ্য ভালো আপনি আমার কলেজে আসছেন আমার খোঁজ করেছেন আবার হুমকি দিয়ে গেছেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডার। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের ক্যাডার আমার নাম নজরুল ইসলাম বাচ্চু। আমি কিন্তু ওই রাজপথের লড়াকু সৈনিক। এরশাদ আন্দোলনে আমি অগ্রণী ভূমিকার একজন মানে সেইরকম ক্যাডার ছিলাম।আপনি জানেন আমার তারেক রহমানের সাথে কি সম্পর্ক? আমি থাকলে আপনার চেহারা ফাটফাট করে দিতাম। যাবো নাকি আপনার অফিসে।
রেকর্ডিং এর সত্যতা নিশ্চিত করে পত্নীতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ.টি.এম জিল্লুর রহমান বলেন, ডিরেক্টর মহোদয়ের নির্দেশে গত ২৯ জানুয়ারী (বুধবার) চৌরাট শিবপুর বরেন্দ্র ডিগ্রী কলেজে আমি ল্যাব দেখতে গেয়েছিলাম। তারপরে ল্যাবের রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখান আসার পর উক্ত কলেজের সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বাচ্চু ফোন দিয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। এই শেষ বয়সে এসে আমাকে এইভাবে কেউ অপমাণ করলো এটা দুঃখজনক। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে জানাবো।
শিক্ষা কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চৌরাট শিবপুর বরেন্দ্র ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, আমি বলি ভাই গত বুধবার তিনি আমার কলেজে গেছে। সেদিন আমি অসুস্থ ছিলাম তাই কলেজে যাইনি। আমার কলিকদের তিনি বলেছে বাচ্চু কোথায় আমি তার চেহারাটা দেখতাম আমি বগুড়ার ছেলে।
গত রোববার আমি কলেজে গিয়ে এসব শুনে আমার মাথাটা গরম হয়ে গেলো। আমি তাঁকে ফোন দিয়ে ছালাম প্রদান করে বলেছি ৫ আগষ্টের পর এখনো আপনার এমন আচরণ চলবে। আপনি তারেক রহমানে নাম নিয়েছেন আপনার সাথে তারেক রহমানের কি সম্পর্ক বলে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, না না উনি বগুড়ার কথা বলেছে তো তাই আমিও বলেছি আমিও তারেক রহমানের সৈনিক।