মোঃ মুনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে যদি আমরা পিছিয়ে যাই, তাহলে দেশ এবং দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, আমরা যদি শুধু নিজেদের স্বার্থের জন্য তর্কে লিপ্ত থাকি, তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার। আগামী দিনে সংসদ কীভাবে পরিচালিত হবে, সংসদের মেয়াদ কতদিন হবে, একজন মানুষ কতবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন—এমন বিভিন্ন বিষয় আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে সক্ষম। এগুলো নিয়ে আমরা মাত্রাতিরিক্ত আলোচনা করলে রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব।
গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আব্বাস উদ্দিন খান মডেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, বিগত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। ভোট দেওয়ার ক্ষমতা অস্ত্রের বলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমরা দেখেছি, অস্ত্র দিয়ে কখনও ডামি নির্বাচন, কখনও ভোটারবিহীন নির্বাচন। আমরা দেখেছি, উন্নয়নের নাম করে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে নিয়ে গেছে। কোনোরকম জবাবদিহিতা ছিল না বলেই দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম. এ. মান্নানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ শামিম ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ- সভাপতি ও বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য ও অরুযাইল আব্দুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ এর সভাপতি আহসান উদ্দিন খান
শিপন প্রমুখ।