১ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে ও নিষিদ্ধ ছাত্র লীগের নেতা কর্মীদের গ্ৰেপ্তারের দাবিতে কয়রায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
৩১/০১/২৫ শুক্রবার বিকালে কয়রা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কয়রা তিন রাস্তার সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’আমার ভাই কবরে ,খুনি কেন বাইরে,ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কয়রা ছাত্র প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দুই হাজার ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন, ৫০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এখনও তাদের রক্তের দাগ শুকায়নি। এখনও আমাদের সহযোদ্ধারা বিছানায় মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। কারও হাত,পা, কারও চোখ হারিয়েছে। এ অবস্থায় নির্লজ্জ আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসার পাঁয়তারা করছে। তারা এই দেশটাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা রাজপথ ছাড়িনি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী যত শক্তি আছে, তারা এখনও নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধারণ করে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট আমরা তাদের যেভাবে বিতাড়িত করেছি, একইভাবে এবারও বিতাড়িত করবো। যেখানেই ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর-দালালদের পাবেন, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের কাছে ধরিয়ে দেবেন। আমাদের নীরবতাকে তারা মনে করেছে দুর্বলতা।’
এসময়ে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষক এস এম এ রউফ, সরদার জুলফিকার আলম, মোঃ মহসিন আলম, মোঃ মারুফ বিল্লাহ, ইমদাদুল হক,রওশানারা হৃদি,রূহান বিনতে রউফ প্রমুখ।
এ জাতীয় আরো খবর..