×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১২-২২
  • ৪৬ বার পঠিত
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার আদমদীঘিতে দি-ব্রিলিয়্যান্ট এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) উপজেলার রহিম উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ ও নশরতপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দি-ব্রিলিয়্যান্ট এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রহিম উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে হল পরিদর্শন করেন দি-ব্রিলিয়্যান্ট এসোসিয়েশনের মহা পরিচালক সাইয়্যেদ কুতুব সাব্বির। তিনি বলেন দি-ব্রিলিয়্যান্ট এসোসিয়েশন একটি মেধা বিকাশের সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান। আমরা প্রতি বছর ছাত্রদের মেধা বিকাশ চারিত্রিক মাধুর্যের সৃষ্টি, মানব সেবায় উৎসাহ দান, মৌলিক মানবীয় গুণাবলি অর্জন সহ জীবন জগতের স্রষ্টার প্রতি অনুগত্যশীল সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য যোগ্য ও আদর্শ নাগরিক তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান, গত ২০০২ সাল থেকে এ বৃত্তি পরীক্ষা চলমান রয়েছে যা আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব আদমদীঘি রহিম ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনামুল হক  দি-ব্রিলিয়্যান্ট এসোসিশনের সাবেক মহাপরিচালক এ্যাড. সাইফুদ্দীন সাইফুল, মিজানুর রহমান, এনামুল হক রানা, জামিল মাহমুদ, সদস্য সচিব আবু হানিফা  হাফেজ আতোয়ার হোসেন ইদ্রিস আলী, রশিদুল ইসলাম রিপন, আহসান হাবীব পল্টু ফরিদুল ইসলাম আহসান হাবীব তুহিন কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম, সাদ্দাম হোসেন, আইয়ুব হোসেন আত্তাব হোসেন জাবেদ আলী মিফতাহুল প্রমূখ। দুটি কেন্দ্রে মোট ৯৫৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে এবং সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন ভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।###
আদমদীঘিতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কমিটি গঠন
সভাপতি- পল্টু সেক্রেটারী- ফরিদুল 
 আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা শাখার ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা জামায়াত অফিসে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আদমদীঘি উপজেলা শাখার আহসান হাবীব পল্টুকে সভাপতি ও ফরিদুল ইসলামকে সেক্রেটারী করে এই কমিটি ঘোষনা করা হয়। এ লক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় আদমদীঘি উপজেলা শাখা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম রাজু প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আদমদীঘি উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা ও উপজেলা জামাতের আমীর হাফেজ আতোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বগুড়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আতাউর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দুপচাঁচিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমূখ। ##
আদমদীঘিতে কালের সাক্ষি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি মঠ
আদমদিঘী (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলা সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা একটি গ্রাম। সে গ্রামে কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে একটি প্রাচীন তম মঠ। এই টি উপজেলার দমদমা গ্রামের মধ্যপাড়ায় অবস্থিত। উক্ত গ্রামের বাসিন্দাদের ধারনা মঠ টি প্রায় চারশত বছরের পুরানো। গ্রামবাসীর ধারণা প্রাচীন হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থনা সভা বা জ্ঞান চর্চা কেন্দ্র এইটি। বর্তমানে মঠটি অযন্ত আর অবহেলায় সঠিক পরিচর্চার অভাবে আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। মঠটির উচ্চতা ১৫৬ ইঞ্চি ও প্রস্থ ৬৭ ইঞ্চি। এই মঠের ইট সুরকি বর্তমান সময়ের সঙ্গে পরিচিত নয়। অতি প্রাচীন স্থানীয় সূত্র মতে এটি ১৫ শত শতাব্দিতে তৈরি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটির গায়ে নানা কারুকাজ করা আছে। উপর দিকে সরু এবং নানা আঙ্গিকে তৈরি। এটির একটি ছোট প্রবেশ দ্বার আছে। কিন্তু কোন ধর্ম চর্চার মতো বড় নয়। স্থাপনাটি সরকারি সম্মত্তিতে তৈরি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বর্তমান এই গ্রামে মুসলমান ছাড়া অন্য কোন ধর্মের মানুষ নেই। তবে অনেক বয়স্ক মানুষদের সাথে কথা বলে জানা গেছে মঠঠি যেখানে স্থাপিত সেখানে হাড়িঁপাড়া নামে একটি মহল্লা বা পাড়া ছিল। সেখানে হিন্দু সম্প্রাদায়ের মানুষ বসবাস করতো। এই হাড়ি সম্প্রদায়ের মানুষরা মৃৎ শিল্প তৈরি করতো। তারাই হয়তো এই মঠ তৈরি করেছে। আর এটি অতি প্রাচীন। এই গ্রামের কেউ কেউ জানান বছর দশেক আগে পাশ্ববর্তি গ্রাম কাশিমালা সান্দিড়া থেকে হিন্দু ধর্মের লোকজন এই মঠে এসে পুুঁজা সহ কিছু অনুষ্ঠান করতো। বর্তমানে এখন মঠটিতে কোন ধর্মের লোকজনই আসে যাওয়া করেন না। দমদমা গ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক আলম খান জানান এই মঠটি অতি প্রাচীন। আমরা ছোটবেলা থেকে এটি দেখে আসছি। এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের তৈরি এবং এটি ৪০০ বছর আগের নির্মাণ বলে জানা যায়। আর এই মঠটি হাড়িঁ সম্প্রদায়ের মানুষদের তৈরি। যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের এবং এই সম্প্রদায় মৃৎ শিল্প তৈরি করতো। এ বিষয়ে প্রত্নতাত্বিক অধিদপ্তর আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী প্রত্নতাত্বিক প্রকৌশলী মো: মুরাদ হোসেন জানান। আনুমানিক ১৫ শত শতাব্দির দিকে হিন্দু সম্প্রদায় এই মঠগুলি তৈনি করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। এটি হিন্দু ধর্মের একটি চর্চা কেন্দ্র বলে জানা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat