স্বাধীনবাংলা, বরিশাল প্রতিনিধি :
ঝালকাঠি
সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. আল-আমিন মাঝির বিরুদ্ধে
যৌতুক দাবির অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয়েছে। স্ত্রীর পক্ষে তার মা বাদী
হয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রোববার মামলাটি করেন।
বিচারক এইচএম ইমরানুর রহমান এর প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
জারি করেছেন।
অভিযুক্ত আল-অমিন মাঝি নলছিটি উপজেলার রানাপাশা গ্রামের মো. তৈয়বুর রহমান মাঝির ছেলে। তিনি ৪ বছর আগে ঝালকাঠি মহিলা কলেজে যোগ দেন।
আদালত
সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর মা ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কলেজের তৎকালীন
অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ
হাসানের কাছে অভিযোগ করেন। সেই সাথে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের
প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে নালিশি অভিযোগ করেন। কিন্তু ওই সময় জেলা ও দায়রা
জজ ছুটিতে থাকায় মামলা হয়নি। পরে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রোববার আদালতে
মামলাটি করেন।
পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়,
নির্যাতিত ওই ছাত্রী ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি পাস
করে। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর কয়েক মাস আগে ক্লাস নেয়ার সুবাধে আল-আমিন মাঝি
ওই ছাত্রীর ফোন নম্বর সংগ্রহ করে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেন। এইচএসসি
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে আল-আমিন ছাত্রীকে ফোন করে মহিলা কলেজে এনে বলেন-
‘তুমি ভালো রেজাল্ট করেছো। তুমি মেডিকেলে ভর্তির পরীক্ষা দাও। আমি তোমাকে
সব রকমের সহযোগিতা করব।’
সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে
আল-আমিন প্রায়ই ওই ছাত্রীকে বরিশাল-ঝালকাঠির বিভিন্ন রেস্তোরা ও মহিলা কলেজ
সড়কের বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। একপর্যায়ে তারা বিবাহ বন্ধনে
আবদ্ধ হলে কয়েক মাস যেতে না যেতেই ওই ছাত্রীকে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ
প্রয়োগ করেন। টাকা না দিলে বাবার বাড়ি থেকে আর নেয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে
দেন প্রভাষক আল আমিন মাঝি।
এ জাতীয় আরো খবর..