×
সদ্য প্রাপ্ত:
বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় মটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু রাজবাড়ী হোমিওপ্যাথিক কলেজের প্রাচীর ভেঙে দখলে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা ফ্লিকের বার্সেলোনায় মুগ্ধ মেসি দেশের সব সংকট সমাধানে দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন: তারেক রহমান ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ১০ জনের আওয়ামী লীগ মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলেছে -অধ্যক্ষ মাওলানা শাহজাহান আল মাদানী বান্দরবানে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ছাত্রশিবিরের শতভাগ সদস্য মাদকমুক্ত: কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম আমাদের জ্ঞানের মাধ্যম হচ্ছে বই ময়মনসিংহ বিভাগীয় বইমেলা'র সমাপনীতে বিভাগীয় কমিশনার
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৮-০৯
  • ৬২ বার পঠিত
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রসঙ্গটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। 

ওই ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাতিয়ার হিসেবে নিষেধাজ্ঞা ব্যবহৃত হতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে চলমান মার্কিন নীতি অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার এবং এ ধরনের দুর্নীতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করছে কিনা তা জানতে চান।

ওই সাংবাদিক জানতে চান, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমনবিষয়ক সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ সবেমাত্র বাংলাদেশে তার সফর শেষ করেছেন এবং সফরে তিনি বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন। তার এ সফরের সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বিপুল অংকের অর্থ বিদেশে পাচার করা নিয়ে চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অভিযুক্ত এক ব্যক্তি বিপুল অংকের অর্থ পাচার করে বিদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। ব্যাপক দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের বিষয়ে স্টেটওয়াচ.নেট এবং ওসিসিআরপি একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে রিচার্ড নেফিউয়ের বৈঠকের সময় তিনি ইঙ্গিত দেন, নিষেধাজ্ঞাকে তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসাবে বিবেচনা করতে পারে। আমার প্রশ্ন হলো— যুক্তরাষ্ট্র সরকার কি নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায়, বিশেষ করে যারা দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি এর আগে ভিন্ন একটি দেশের সম্পর্কে একটি ভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলাম, নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে আমরা কখনই সেটি নিয়ে (নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে কিনা বা কার বিরুদ্ধে দেওয়া হবে) কথা বলি না। তবে সাধারণভাবে বলতে গেলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি হাতিয়ার হতে পারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।

তিনি আরও বলেন, (দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে) আমাদের কাছে অন্যান্য পদক্ষেপও রয়েছে, যেমন সম্পদ হিমায়িত করা বা আটকে দেওয়া এবং অংশীদার দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া যাতে তারা মামলা করতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশকে তার সীমানার মধ্যে থাকা দুর্নীতিবাজদের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্মূল করতে উৎসাহিত করছি আমরা।

এর আগে পৃথক এক প্রশ্নে এক সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আজ মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে– সেখানে তারা যা করছে, সে বিষয়ে আপনার কোনো মন্তব্য আছে? বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন সত্যিই সত্যিই খারাপ। আর তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি করছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, আমরা অনেকবার এই বিষয়টি স্পষ্ট করেছি। এই মঞ্চ থেকে আমি অনেকবার এই বিষয়ে স্পষ্ট কথা বলেছি। আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। আমরা তা প্রকাশ্যেই স্পষ্ট করে বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার সময়ও এটি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছি এবং বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আমাদের চলমান নীতি অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat