আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো কোরআন-হাদিস বহির্ভূত কোনো কিছুতেই সমর্থন করেন না। দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। তা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ করেননি। কওমি মাদরাসাকে সরকারি স্বীকৃতিভুক্ত করা হয়েছে।
স্কুল-কলেজ আর কওমি মাদরাসার সার্টিফিকেট একই। এটা তো শেখ হাসিনার অবদান। এভাবে ইসলাম রক্ষার সকল কাজ শেখ হাসিনা করেছেন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে মরহুম পীর হযরত মাওলানা গোলাম রহমান রহ. এর জীবন ও কর্ম নিয়ে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভাটি আয়োজন করেন বাংলাদেশ মুজাহিদ জাকিরীন কমিটি।
এ সময় তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে। আমরা যেই পাকিস্তানকে ভোট দিয়ে আনলাম সেই পাকিস্তান আমাদের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার ও নির্যাতন করা শুরু করল। এই অত্যাচার-নির্যাতন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
এই সিদ্ধান্তে মুসলমানরাই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। একটা স্বাধীনতার পক্ষে আরেকটা বিপক্ষে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে তার জন্য বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার অবদানই সবচেয়ে বেশি। তারা না থাকলে আজকে এই জায়গায় দেশ দাঁড়াত না। আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে সন্ত্রাস-ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীকে আল্লাহ পছন্দ করে না।
সুতরাং আমাদের সকলের দায়িত্ব হলো কোনো মুসলমান যাতে এই সন্ত্রাস-ফ্যাসাদ সৃষ্টি না করে।’
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরের পীর আলহাজ্ব মাওলানা আলী আহমাদ চৌধুরী দা.বা.। এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে যত উন্নয়নই দেখা যায় সব উন্নয়নই আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। কিন্তু সরকারের অবুঝে নাস্তিকদের প্রভাবে ইসলামের ওপর কিছু আঘাত এসেছে। এর ফলে সকল উপকার ও উন্নয়ন ম্লান হয়ে যায়। মুসলমানের কাছে ইসলামের চেয়ে বড় কোনো কিছু নেই।
বাংলাদেশ মুজাহিদ জাকিরিন কমিটির সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা হাবীব আহমাদ চৌধুরী দা.বা. এর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির নায়েবে আমীর মাওলানা শামসুল হক, মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মোখলেছুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা শাখার উপদেষ্টা মোহাম্মদ চান মিয়সহ ওয়ালামা কেরাম ও জাকিরিন।
এ জাতীয় আরো খবর..