রাশিমুল হক রিমন, আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
আমতলী উপজেলার খেকুয়ারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নীচতলায় তিন ব্যবসায়ী ধানের গোডাউন স্থাপন করা হয়েছে।এতে পরিবেশ চরম আকারে বিঘ্নিত হচ্ছে। দ্রুত ধানের গোডাউন অপসারণের দাবী জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১০ সালে তিনতলা সাইক্লোণ সেল্টার নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয় ভবনের নীচতলায় স্থানীয় তিন ব্যবসায়ী আল আমিন, জাকির হোসেন ও আলমগীর হাওলাদার ধানের গোডাউন স্থাপন করেছেন। গত এক মাস ধরে তারা ভবনের নীচতলায় কাড়ি কাড়ি বস্তা ধান রেখেছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিষেধ করলেও তারা তা মানছেন না। এতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ চরম আকারে নষ্ট হচ্ছে। ধানের গোডাউন করার পরিবেশ দুষিত হয়ে শিক্ষার্থীরা নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ভবনের নীচতলায় ধানের গোডাউন করায় চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। ধুলাবালিতে বিদ্যালয় একাকার হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ধানের গোডাউন অপসারণের দাবী জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বিদ্যালয় ভবনের নীচতলায় কাড়ি কাড়ি ধানের বস্তা রাখা আছে। বিদ্যালয় ধুলাবালিতে একাকার হয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন, আব্দুল্লাহ, সুমাইয়া বলেন, বিদ্যালয় ভবনের নীচ তলায় ধানের গোডাউন করায় চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। ধুলাবালিতে বিদ্যালয় একাকার হয়ে যাচ্ছে। এতে আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তাদের।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের বিদ্যালয় ভবনের নীচতলার ধান রাখতে নিষেধ করেছিলাম কিন্তু তারা শুনেননি। এতে চলাচল ও পরিবেশের বেশ সমস্যা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন স্বপন বলেন, বিদ্যালয়ের নীচতলায় তিন ব্যবসায়ী ধানের গোডাউন করেছে। এতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ চরম আকারে বিঘিœত হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি।
বিদ্যালয় ভবনের নীচতলায় ধানের গোডাউন স্থাপণ করা ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, বিদ্যালয় ভবনের নীচতলায় ধানের গোডাউন করা ভুল হয়েছে। দ্রুত ধান সরিয়ে নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, খোজ খবর নিয়ে দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..