মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ১১ জানুয়ারি
ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত যুবকের লাশের (পুরুষ) পরিচয় সনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ। উদ্ধারকৃত লাশের সারা শরীর পচন ধরে তরল নির্গত হওয়ায় আঙুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও মুখমন্ডলের কোন অংশ দেখেই সনাক্তের উপায় নেই। পুলিশের রেকর্ড সার্ভার থেকেও উদ্ধারকৃত লাশটির আকার, আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্য দেখে মেলানো যাচ্ছে না।
অজ্ঞাত ওই লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকালে দেখাযায়,বয়স অনুমান ২৫-৩০, উচ্চতা অনুমান ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, স্বাস্থ্য মাঝারি, গায়ের রং শ্যামলা,লাশের চুল কালো এবং লম্বা অনুমান ২ ইঞ্চি, পড়নে কালো হাফপ্যান্ট, গায়ে ফুলহাতা নেভি ব্লু হডি সোয়েটার, যাহার সামনের অংশে (৬০২) ইংরেজীতে Hil Figer লেখা আছে, তার নীচে হাফ হাতা লাল সবুজ রংয়ের জার্সি গেঞ্জি ও হাফ হাতা সাদা কালো পেনাল লাল গেঞ্জি,মাথা পচন ধরা, চোখ, মুখ, নাক পচন ধরা এবং মৃত দেহ হইতে তরল পদার্থ বের হওয়া অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার জায়গীর ইউনিয়নের পুলিশ ক্যাম্প এলাকার আশরাফুল মান্নানের টিনশেড ভাড়াবাড়ি থেকে গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে ২২ ডিসেম্বর বিকালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি যার বয়স আনুমানিক ৪৫, তার মুখে লম্বা দাড়ি। তিনি পার্শ্ববর্তী বাড়ির ভাড়াটিয়া বাদশা মিয়াকে (৬০) সাথে নিয়ে বাড়ির মালিকের সাথে ১১শ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে দক্ষিণ পাশের একটি কক্ষ ভাড়া নেন। ২শ টাকা অগ্রিম দিয়ে কক্ষটিতে সঙ্গে থাকে ব্যাগ নিয়ে উঠে পড়েন। এরপর রুম পরিষ্কার করে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে দেন। অপরিচিত ব্যক্তিটিকে বাসা ভাড়া দেওয়ার জন্য বাড়ির মালিক নাগরিক সনদপত্র চাইলে- তার সঙ্গে নেই এবং পরিবারসহ বাসায় উঠলে তখনই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেবেন বলে জানান তিনি।
পরবর্তীতে ঐদিন রাতে দশটার দিকে পুনরায় অজ্ঞাতনামা ভাড়াটিয়ার সাথে আরো দুইজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাসার কক্ষে অবস্থান করে। পরদিন সকাল থেকেই কক্ষটি তালাবদ্ধ দেখতে পায় পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়ারা।
বাসা ভাড়া নেওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আর বাসায় আসতে দেখা যায় না। এর এক সপ্তাহ পার হওয়ার পর ভিতরে থাকা অজ্ঞাত লাশটি থেকে দুর্গন্ধ আশপাশে ছড়িয়ে পরতে থাকে। এলাকাবাসী ৯৯৯ এ ফোন দিলে ৮ দিন পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গলিত লাশটি উদ্ধার করে।
লাশটি উদ্ধার করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গলিত লাশটি ছাড়া তার সাথে কোন ইলেকট্রিক ডিভাইস পাওয়া যায়নি। লাশ গলিত হওয়ায় তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং মুখমণ্ডল দেখে সনাক্ত করার উপায় নেই। আমরা সে সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসে এম আমান উল্লাহ বলেন, লাশের শনাক্তের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। হত্যাকারী খুবই চতুর এবং চালাক। হত্যাকারাীকে গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা চলছে।
এ জাতীয় আরো খবর..