সারোয়ার হোসাইন, নালিতাবাড়ী (প্রতিনিধি) শেরপুর
গারো পাহাড়ের পাদদেশে শেষ সীমান্তবর্তী শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলা নালিতাবাড়ী-নকলা ও শেরপুর সড়ক দিয়ে দিনে রাতে বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের অবাধ চলাচলে হুমকিতে পড়ছে কোটি টাকার সরকারি রাস্তা । এবস ড্রাম ট্রাকের চলাচলের অতিষ্ঠ এ সড়কের চলাচল করিয়া, দিনের বেলায় বালুবাহী ড্রাম ট্রাক কম চলাচল করলেও সন্ধ্যা হলেই বাড়ে এসব ড্রাম ট্রাকের ও বালুবর্তী ট্রাকটর ট্রলি চলাচল রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে বাধে জ্যাম। আবার এসব ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কে বিভিন্ন স্থান দেবে যায়। সড়কের গাইড ওয়াল ও ভেঙ্গে যাচ্ছে। অবাধে চললেও কেউ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালু ব্যবসায়ীরা, বিভিন্ন স্থানে জমি ভরাটসহ ড্রেজিং করে পরবর্তীতে ড্রাম ট্রাকে করে এসব স্থানে বালু আনা হয়। ড্রাম ট্রাক গুলোতে বালু ভরাটের পরে দেওয়া হয় না উপরে কোন প্রকার পর্দা, উম্মুক্ত ভাবে নিয়ে আসা হয় যার কারণে বিভিন্ন স্থানে চলাচলের সময় বালু উড়ে। কয়েকটি বালু সিন্ডিকেটের দেদারছে অবেধ বালু উত্তোলন এবং ভরাট ব্যবসা কারণে এমন গুরুত্বপূর্ন সরকারি রাস্তাগুলো ক্ষতির সুম্মুখীন হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন নালিতাবাড়ি থেকে নকলা যাওয়ার একমাত্র সড়ক দিনে রাতে দেদারছে বালু বাহী ট্রাক বালুবর্তী ট্রকটর চলছে। বিভিন্ন দপ্তরে গাড়ি চলাচল করে কই আজ পযর্ন্ত কারো চোখের নজরে আসেনি । আর ভরাট সিন্ডিকেটের কাউকে ও তো কখনো সংস্কার করতে দেখিনি। প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে এমন ভাবে চলতে থাকলে উপজেলার পাহাড় কৃষি জমিও থাকবে না, জলাশয়ও থাকবে না, আর খাল তো দখল হচ্ছেই। আর অববৈধ ভাবে নদীতীরবর্তী ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে।
মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারি সজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের গারো পাহাড়ের পাদদেশ হাতিপাগার সড়ক, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের মন্ডলিয়াপাড়া সড়ক, পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারমাড়ি সড়ক, ভূরুঙ্গাব্রীজ, নালিতাবাড়ী ইউনয়নের খালভাঙ্গা সড়ক, যোগানিয়া ইউনিয়নের রাবার ড্যাম সড়ক ও গোবিন্দ নগর ছয়আনী পাড়া সড়ক, মরিচপুরান ইউনিয়নের ফকিরপাড়া, উত্তর কোন্নগর সড়ক, এবং দক্ষিন কোন্নগর হয়ে মালিঝির ব্রীজ ও ঝিরাইনা কুরিব্রীজ সড়ক থেকে ড্রাম ট্রাকে বালুবাহী গাড়ি যাচ্ছে তালতলা বাজারসহ রাস্তার পাশে ট্রাকে করে বালু ফেলে ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমির ওপর পাইপ টেনে ভেতরে বালু নেয়া হচ্ছে। কেবা কারা করছে যানা সম্বব হয়নি। কাপাশিয়া জোরাব্রীজ এবালু ড্রাম ট্রাকে ফেলা হচ্ছে, বালুয়া কান্দা বাজার রাস্তা পাশে, আরেকটু সামনে এগুলে তালতলা বাজার এর উপর দিয়ে গিয়ে পাশ্ববর্তী নকলা উপজেলার ধনাকুশা বাজার সংগ্লন এলাকায় ফসলি জমি ভরাট করেছেন একই ব্যাক্তিরা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দিনে রাতে কিভাবে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে তারা।
দক্ষিন কোন্নগড়ের বাসিন্দা ও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাতুল মিয়া(২৭) বলেন, ভারত থেকে প্রবহমান দূরন্ত ভোগাই নদী থেকে বালু উত্তোলন একটি চক্র কোন্নগর বড়বাড়ীর ঘাট পাশ্চবর্তী চকযোগানিয়া ঘাটসহ ৪৭টি ডেজার বসিয়ে দিনে রাতে বালু উত্তোলন করছে। এবং রাতের আধারে বালুবাহী ট্রাক ভরে অবৈধ ভাবে অনত্র পাচার করছে। এতে এলাকার মেঠো পথ ও সরকারী পাকা সড়ক বালুবাহী ট্রাক দিয়ে ধ্বংস করে যাচ্ছে। পাশাপাশি শব্দ দূষনের কারনে রাতে আমাদের এবং গ্রাম বাসির ঘুমবিনষ্ট হচ্ছে সেই সাথে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা বিঘ্ন ঘটছে।
এই গ্রামের আরো একজন রিকশা শ্রমিক মোঃ ইসমাইল হোসেন এ প্রতিবেধক কে বলেন, আমার ঘড়ের সীমানা ঘেষেঁ রাতে বালবাহী ট্রাক চলাচল করে আমি আমার স্ত্রী, সন্ত্রান নিয়ে রাতে ঘুমাতে পারিনা, ভয়ে কাউকে কিছু বলতেও পারি না। আমি একজন গরিব মানুষ বাধা দিলেও আমার কথা শুনে না, প্রভাব শালী বালু ব্যবসায়ীরা । বালু ব্যবসায়ীরা আমাকে আরো হুমকি দিয়ে থাকে।
নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদী, চেল্লা খালি নদী, বুরুঙ্গা নদী ও নদীর পাড় সহ এবং নাকুগাঁও ব্রীজ ও ফসলি জমি রক্ষার্থে ও নয়াবিল রাস্তার বেড়িবাধ সহ নালিতাবাড়িতে অবৈধ বালু ইজারাদারের বিরুদ্বে সকল শ্রেনির মানুষ ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নালিতাবাড়ি উপজেলা গেইটের সামনে মানববন্ধন করেন ।
এব্যাপারে নালিতাবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্রান্ত ববি ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) আনিসুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন অবৈধ বালু ব্যবসায়িদের বিরুদ্বে অভিজান অবহ্যাত আছে।
নালিতাবাড়ি শেরপুর অবৈধ বালু বুজাই ট্রাক অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে
এ জাতীয় আরো খবর..