মোঃ সোহেল রানা, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ
আজ শনিবার ১৪ই ডিসেম্বর ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ সকাল ৯ টায় রাজশাহী সিএন্ডবি মোড়ে, জেলা মিলনায়তন পরিষদে, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, রাজশাহী সহ বিভিন্ন জেলার শ্রমিকদের নিয়ে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সভার আয়োজন করে।
সেখানে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ২০২৬ সাল পর্যন্ত নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করে। রাজশাহী মহানগরের নতুন সভাপতি- হন অধ্যাপক আব্দুস সামাদ।
সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যৌথভাবে জামাত ইসলামের নেতাকর্মী ও সাধারণ শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করে, দেশের স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনাকে পতন করিয়ে, দেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শ্রমিকরা এদেশের প্রাণ তাই শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা সামনের দিনগুলোতে একসাথে লড়াই করে যাবো। রিক্সাওয়াল, দিন মজুর ও শ্রমিকরা তাদের নায্য অধিকার ফিরে পাচ্ছে না।
তিনি শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নিয়োগ দিলে, তাকে নিয়োগপত্র দিতে হবে, চুক্তিপত্র থাকতে হবে, বেতন নির্ধারণ করতে হবে ও চাকুরির মেয়াদ কাল থাকতে হবে। যখন-তখন শ্রমিককে ছাটাই করা যাবে না, তাদের উপরে অত্যাচার করা যাবে না। মালিক পক্ষ, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের কাজের নিশ্চয়তা দিতে হবে। শুধু শুধু মুখের কথায় নিয়োগ দিলে চলবে না, চুক্তি অনুযায়ী সময় মত তার বেতন পরিশোধ করতে হবে। ইসলামের হাদিস অনুযায়ী শ্রমিকের গাঁয়ের ঘাম শুকানোর আগেই পারিশ্রমিক হবে। শ্রমিকের কাজের জন্য তাকে সার্টিফিকেট দিতে হবে।
তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, রিক্সাওয়ালা খেটে খাওয়া শ্রমিক ও দিনমজুরকে প্রত্যেকে-প্রত্যেকের সাথে সালাম বিনিময় করতে হবে, বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত মালিক -শ্রমিক সালাম বিনিময় সিস্টেম চালু করতে হবে, এটা বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের লক্ষ্য। এই সিস্টেম চালু করার জন্য মালিক-শ্রমিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানাই।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অবৈধ ভাবে নির্বাচিত শেখ হাসিনার সরকারের মতো যেন আর কোন দিন এ দেশে নির্বাচন না হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দেশ সংস্কার করেই নির্বাচন দেক। তবে সেটা যেন, কোন দলকে দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে নয়।
তিনি আরো বলেন ৫ আগস্টের পরে মানুষ বাংলাদেশ জামাত ইসলাম এর উপরে ঝুঁকছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশটাকে এগিয়ে নিতে শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান করেন। অসৎ জায়গায় সৎ, অযোগ্য কে যোগ্য, সকল অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর কাছে ভিক্ষা চায়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নতুন সভাপতি- অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের উদ্দেশ্যে মূল্যবান বক্তব্য দেন, বক্তব্য শেষে “নারে তাকবির আল্লাহু আকবার” স্লোগানের মাধ্যমে সবাই অনুষ্ঠানকে উৎসব মুখরিত করে তুলে, পরিশেষে সকলের উদ্দেশ্যে দোয়া করে সভা অনুষ্ঠানের শব্দ দূষণের কারণ সমাপ্তি ঘোষনা করে।