গাইবান্ধা প্রতিনিধি::
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের স্থাপিত রাজা পিপার মিল দীর্ঘদিন দেশের উন্নয়নের সারথী হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
গত জুলাই আগস্টের গণভ্যাথনে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে, তাদেরকে চাঁদা না দেওয়াই চাঁদাবাজেরা উদ্দেশ্য প্রণীত ভাবে বিষাক্ত বজ্রের অভিযোগ এনে স্থানীয় প্রশাসনের বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। এবং স্থানীয় ভাবে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় প্রতিষ্ঠানটি হুমকির মুখে পড়েছে। এঘটনায় প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ জেলার সচেতন মহলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক, কর্মকর্তা, কর্মচারিসহ অন্যান্য সুবিধাভোগীরা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ি মহল।
এ বিষয়ে রাজা পেপার মিল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মিল আজ নতুন করে বা রাতারাতি এখানে স্থাপিত হয়নি, বিগত কয়েক বছর যাবত আমি এখানে সরকারি সমস্ত নিয়ম মেনে এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছি। এছাড়াও স্থানীয় সাড়ে চারশত পরিবার কে চাকুরী দিয়েছি তারা এখানে কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তিনি আরো বলেন, যারা এই পেপার মিলের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তাদের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। এই অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পেরে তারা স্থানীয় সুশীল সমাজ কে ভুল ব্যাখা দিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিল করার পায়তারা চালাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটিকে হুমকির মুখে ফেলেছেন। একারণে আমরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলাপ আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অপরদিকে স্থানীয় সচেতন মহল ও কর্মরত শ্রমিকরা বলেন,আমাদের এলাকায় ব্যক্তিগত ভাবে একটি বড় প্রতিষ্ঠান হয়েছে যেখানে আমরা কর্ম করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। একটি বিশেষ চক্র এ প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের ষরযন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের পেটে আঘাত হানছে আমরা এর তিব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ জাতীয় আরো খবর..