×
সদ্য প্রাপ্ত:
কালীগঞ্জে আইন সহায়তা নিয়ে নেটওয়ার্কিং সভা নাগেশ্বরীতে উপবৃত্তি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা-২০২৪-২৫ অনুষ্ঠিত শেরপুরে জনবস্তিতে চালকলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, বিপাকে গ্রামবাসী, প্রশাসন নিরব মহিপুরে ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতিমূলক মাঠ মহড়া প্রদর্শনী দেশের বিতর্কিত শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের ৬টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আরও এক মাস বাড়িয়েছে এনবিআর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশ সদস্য এসআই ফয়সালের ‘অসদাচরণ’ কনস্টাসকে ‘ধাক্কা’ দিয়ে সমালোচনায় কোহলি, পেতে পারেন শাস্তিও নতুন পরিচয়ে রিচি সোলায়মান যে কারণে প্রায় ৭ লাখ গাড়ি ফিরিয়ে নিলো টেসলা
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১২-১৪
  • ১৪ বার পঠিত
সোহেল রানা, নীলফামারী
আজ ১৩ ডিসেম্বর। নীলফামারী হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নীলফামারী সদর উপজেলাকে পাক-হানাদার মুক্ত করে বীরমুক্তিযোদ্ধারা। আজ সকাল থেকে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে নীলফামারী হানাদার মুক্ত দিবস। সকাল ১০ টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহযোগীতায় শোভাযাত্রা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা মো. আশরাফুল হককের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফারুক আল মাসুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু, জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে নীলফামারীতে দেশ মাতৃকার টানে ছাত্র-জনতা ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তির সংগ্রামে। শুরুতে মিটিং-মিছিল আর সভা সমারেশের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে আন্দোলন। মহকুমা শহরের অস্ত্রাগারে রক্ষিত অস্ত্র ছিনিয়ে এনে নীলফামারী বড়মাঠে শুরু হয় অস্ত্র হাতে নেয়ার প্রশিক্ষণ। এরপর ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছয় নম্বর সেক্টরের অধীনে অস্ত্র হাতে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন যোদ্ধারা। নয় মাসের গেরিলা আক্রমণ আর সম্মুখ যুদ্ধে জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ উপজেলা মুক্ত করে তাঁরা এগিয়ে আসেন নীলফামারী শহরের দিকে। ১৩ ডিসেম্বর ভোরে হানাদার ম্ক্তু হয় নীলফামারী। এরপর জেলা শহরের মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয় ও চৌরঙ্গী মোড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন বীরমুক্তিযোদ্ধাগন। এসময় বীরযোদ্ধাদের ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে রাস্তায় নেমে আসেন মুক্তিকামী সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। বিজয়ের উল্লাস আর শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সে সময়ের মহকুমা শহর নীলফামারী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat