×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১২-১৪
  • ৬৫ বার পঠিত
এম. এ. হাসনাত শুভ (আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি;-

১৪ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গভীর শোকের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে, মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে যখন বিজয় প্রায় চূড়ান্ত, ঠিক তখনই পাক হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্টানের, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পরিকল্পনা করে হানাদার বাহিনী ও তাদের মিত্র দোসরের দল। যেসকল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা কিরা হয়েছিলো, তাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, লেখক, এবং সংস্কৃতি কর্মী। তাঁদের হত্যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক মেরুদণ্ড ধ্বংস করা, যাতে নতুন দেশটি অগ্রসর হতে না পারে।

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রতি বছর এই দিনে জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় আজমিরীগঞ্জেও পুলিশ-জনতার সসম্মিলিত আয়োজনে হাজারো আজমিরীগঞ্জবাসী শহীদ মিনারে মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন আলোচনা সভা ও প্রার্থনার আয়োজন করে।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও থানার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন পরবর্তী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনায় বক্তারা ১৪ ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়, যে আমরা যেন কখনো জাতির মেধাবী সন্তানদের অবদান ভুলে না যাই এবং দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকি। তাদের আত্মত্যাগের শিক্ষাকে লালন করে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে সকলকে কাজ করতে হবে আর মনে রাখতে হবে দেশ বিরোধী অপশক্তি অতীতে যেমন ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে হয়তো ভিন্ন নামে ভিন্ন রুপে। সকল বাংলাদেশি যেনো ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাত্র-জনতার বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করা করে এই আশাবাদা ব্যাক্ত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat