দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকিতে পরিবেশ বান্ধব ঝিকঝাকের অন্তরালে চলছে পরিবেশ বিধ্বংসী জ্বালানী কাঠে পোড়ানো অবৈধ ইটভাটা। প্রকাশ্যে পুড়ছে কাঠ, ইটভাটায় নির্গত ধোয়া আর কার্বনের আস্তরণে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ ও ফসলের মাঠ।
ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের তোয়াক্কা করছেন না তারা। বেপরোয়া গতিতে ফলজ-বনজ কাঠ ব্যবহারে ইট পোড়ানো চলছে। পরিবেশ আইনে সম্পূর্ণ নিষেধসত্ত্বেও বছরের পর বছর যাবৎ এভাবেই এ ভাটাটিতে ইট তৈরির কাজ চলছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিন দুমকি উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একহাজার ফুট দুরত্বে দু'টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , সড়কের পাশে ফসলের মাঠে একসময়ের ঝিকঝাক দুমকি ব্রিকসে কয়লার স্যাম্পল সামনে রেখে ভেতরে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি চলছে। পাশেই রাখা আছে গাছের গুঁড়ি ও চেরাই কাঠের স্তুপ। ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, প্রতি ডিসেম্বরের শুরুতে ভাটার প্রস্তুতি শুরু হয়। এরপর টানা মার্চ মাস পর্যন্ত এ ভাটায় কাঠ ব্যবহার করে ইট তৈরি হয়।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ আমিনুল ইসলাম মুন্সিসহ আর দু'জনের যৌথ ব্যবস্থাপনায় চালাচ্ছেন ইটের ভাটা। মালিক জনাব আমিনুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয় সরকারী বৈধ কোন কাগজপত্র আছে কিনা? তিনি বলেন, তার কাছে কোন কাগজপত্র নেই। আলী আকবর খান ও সাবেক ইউপি সদস্য বশির খানের সাথে যোগাযোগ করুন। আলী আকবর খান পরে কাগজ দেখানোর কথা বলে নানা ভাবে সময় ক্ষেপণ করছেন।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ইট ভাটার বিষয়ে জানান, প্রশাসন তো দেখছে ভাটাগুলো অবৈধ ও ইট তৈরির প্রক্রিয়াও অবৈধ। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে।
পটুয়াখালী জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনে লাইসেন্স ব্যতিত ইট ভাটা নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ধারা ৮-এর ‘ঘ’তে বলা আছে, কৃষিজমি ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ।
পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, দুমকি উপজেলার কোন ইটভাটায় পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইটভাটা দু'টোর অবৈধ ব্যবসা চালানো হচ্ছে।
দুমকির ইউএনও শাহীন মাহমুদ বলেন, ফসলি জমিতে ইটের ভাটা নির্মাণ ও ইট পোড়ানোর কোন সুযোগ নেই। সরেজমিন পরিদর্শণ করে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..