এমরান,আত্রাই(নওগাঁ)থেকে :
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য প্রাচীন কৃষি সেচ যন্ত্র দোন কিংবা সেঁউতি আজ বিলুপ্তি প্রায়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে দেশের প্রতিটি শাখায় এখন আধুনিকায়নের ছোঁয়া। আর সেই আধুনিক প্রযুক্তির যান্ত্রিক সভ্যতার যাঁতাকলে দেশ থেকে প্রায় বিলুপ্তির পথে প্রাচীন সব কৃষি সেচ যন্ত্র।
এর মধ্যে বিলুপ্ত প্রায় কৃষি কাজে এক সময়ের কৃষকের পানি সেচের দোন কিংবা সেঁউতি।
টিন বা বাঁশ দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহি এ সেঁউতি আগেকার দিনে ফসলী জমিতে পানি সেচ ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হতো। এক সময় গ্রাম বাংলার কৃষিতে সেচযন্ত্র হিসেবে সেঁউতির ব্যাপক চাহিদা ছিলো। টিন আর বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরি সেঁউতি দুই দিকে রশি লাগিয়ে খাল বা নিচু জমি হতে উপরে পানি তোলা হতো। আর উঁচু নিচু জমিতে পানি সেচ দিতে সেচযন্ত্র টিনের সেঁউতি ছিল অতুলনীয়।
এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকরা প্রাচীন যুগেই আবিস্কার করেছিল।টিন আর বাঁশ দিয়ে ত্রিকোণ আকৃতির দুই দিকে রশি লাগিয়ে দুজন মানুষ মিলে পানি সেচ করা হতো। এতে করে পানি সেচ দিতে শ্রমিক ব্যতীত অতিরিক্ত কোন প্রকার খরচ হয় না।
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের কৃষক মেহের আলী (৬৫) জানিয়েছেন, সেঁউতি দিয়ে সেচ দেওয়া খুব মজার কাজ। একটি টিন ও বাঁশ দিয়ে খুব সহজে তৈরি করা যেত।বাপ দাদা সহ জমিতে গিয়ে দু'জন মিলে দুই দিকে রশি লাগিয়ে নিচে থেকে পানি উপরে তুলে উঁচু জমি গুলো সেচ দিতাম।সেঁউতি তৈরিতে তেমন খরচ হতো না।বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতি আগমনে আর চোখে পড়েনা সেঁউতির ব্যবহার।
উপজেলা সদরের মোল্লা আজাদ সরকারি কলেজের একাদশ দ্বাদশ শ্রেনির ছাত্র মো.মিনহাজ, নয়ন কুমার,মামুনুর রশীদ,মারিয়া বিনতে নুর সহ অনেকে জানান,তাঁরা কখনো সেঁউতি দেখেনি। তবে বই পড়ে জেনেছেন, কয়েক যুগ আগে ও এটি কৃষি কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব জনপ্রিয় ছিলো।
এ জাতীয় আরো খবর..