স্বাধীনবাংলা,
ডেস্ক নিউজঃ
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও দেশের খ্যাতিমান আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি মোঃআজিজুল হুদা চৌধুরী সুমন।
আজ এক শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মোঃআজিজুল হুদা চৌধুরী সুমন শোক বার্তায় আরো জানান, প্রবীন এই আইনজীবী ছিলেন বাংলাদেশের আইন অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি নিজ কর্মগুণেই দেশের মানুষের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আজ সকালে রাজধানীর আদ দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর।
আরোও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘের দৃঢ় ভূমিকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ***
আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। দেশের প্রথিতযশা আইনজীবী এবং আদ-দ্বীন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রফিক-উল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর কিছুটা সুস্থবোধ করলে গত ১৭ অক্টোবর সকালে পল্টনের বাসায় ফিরে যান তিনি।
তবে ওই দিনই দুপুরের পর তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরদিন ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার পর তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
১৯ অক্টোবর তাঁর করোনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
তখন থেকে অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল এই প্রবীণ আইনজীবীর।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।
২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তাঁর চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে।
এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না।
৮৫ বছর বয়সী খ্যাতিমান এই মানুষটি বিছানায় শুয়েই সময় পার করছিলেন