শায়েক আহমদ কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার বিভিন্ন ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের কল্যাণমুখী উদ্যোগের যেন কোন কমতি নেই।
এ সেবা নিশ্চিত করার জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় গড়ে তোলা হয়েছে জেলা প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার শাখা। এখানে সেবা নিতে আসা মানুষগুলো বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এমনই চিত্র ধরা পড়েছে প্রবাসী কল্যাণ শাখার কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে। এখানে সেবা নিতে আসা মানুষগুলো প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার সেবার মান নিয়ে কথা হয় কয়েকজন সেবাগ্রহীতার সাথে তারা জানান এখানে সেবা পাওয়ার জন্য ৫-৭ হাজার টাকা করে ঘুষ প্রদান করতে হয় অন্যথায় সেবাগ্রহীতাদের নথি হারিয়ে গিয়েছে বলে নতুন করে নথিপত্র জমা করার জন্য বলা হয়ে থাকে।
এমন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে এই প্রতিবেদক প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে পরিচয় গোপন রেখে প্রবেশ করে দেখতে পারেন যে, প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে কর্মরত সাবেক অফিস সহকারী প্রীতশ বাবু। সে অফিসে ঢুকে ফাইলগুলো নাড়াচাড়া করছে এবং সেবা প্রত্যাশীদের ফাইলগুলো পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য ৫-৭ হাজার টাকা করে নিয়ে কোন কাজ করে দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এসময় প্রীতশ কে এ বিষয়ে জিঙ্গাসা করা হলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। প্রীতশ বাবুর এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জানতে চাইলে অফিস সহকারী আব্দুস সালাম জানান আমি এখানে নতুন জয়েন করেছি তাই বিভিন্ন কাগজপত্র খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে বিধায় প্রীতশ কে ডেকে এনেছি আমাকে একটু সহযোগিতা করার জন্য। কিন্তু ঘটনাস্থলে ভিন্ন চিত্র লক্ষ করা যায় এসময় ভুক্তভোগীদের সামনে তাদের জিঙ্গেল করা হলে তারা বলেন বর্তমান অফিস সহকারী আব্দুস সালাম এবং প্রিতাশ মিলে আমাদের ফাইলগুলো পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু তারা আমাদের কোন কাজই করে দিচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এ সময় আরো লক্ষ্য করা যায় যে প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে দালালদের আনাগোনা রয়েছে। দালাল ব্যতীত এখানে কোন ফাইল পাশ হয়না। কারণ দালালদের সাথে এখানে কর্মরতদের প্রতিনিয়ত যোগসাজশ রয়েছে।
এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার কক্সবাজার শাখার সহকারী পরিচালকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। যার কারণে কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ জাতীয় আরো খবর..