প্রতিবেদকঃ নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুরে জিরো পয়েন্টে গভীর রাতে বাস-ট্রেন ও
আবাসিক হোটেল গুলোকে কেন্দ্র করে চলছে চুরি ও ছিনতাই। (১ ডিসেম্বর) রবিবার সোনাপুর ইসলামিয়া সড়কে নিকটস্থ আবাসিক হোটেলের থেকে এক নারীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে দৌড়ে পালানোর সময় ধাওয়া করেও ধরতে পারে নাই। পরে সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে পুলিশের অসহযোগিতায় ফেরত আসেন। অভিযোগ উঠেছে, মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুরের মত ব্যস্ততম এলাকায় স্থানীয় পুলিশের নজরদারির অভাবে একেরপর এক ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে নিরীহ মানুষ।
ছিনতাইকারীদের এমন বেপরোয়া দৌরাত্ম্যে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত বেশ কয়েক দিন ধরে ঘটেছে এমন অসংখ্য ঘটনা। জানা যায়, ঢাকা থেকে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন বিকেল ৩.৩০ মিনিটের সময় ছেড়ে নোয়াখালীতে এসে পৌঁছতে সময় লেগে যায় ৫/৬ ঘন্টা। সে হিসেবে রাতের প্রায় ১১ টা বেজে যায়। রাতের ট্রেনে আগত যাত্রীরা রেল স্টেশন ত্যাগ করার সাথেই শিকার হন ছিনতাইয়ের।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েকে দেখতে সিরাগন্জ জেলার বাসিন্দা বিবি কুলসুম গত ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সোনাপুরের একটি হোটেলে উঠেন রাত যাপন করতে। সকালে হোটেল ত্যাগ করে জিরো পয়েন্টর একটু দক্ষিণে পৌঁছা মাত্রই পড়েন ছিনতাইকারীর কবলে। মোবাইল ও নগদ অর্থসহ হারান মূল্যবান সবকিছু। সুবর্ণচরের মাদ্রাসা শিক্ষক আলা উদ্দিন সোনাপুরের কাটপট্রিতে অপেক্ষা করেন গাড়ির জন্য। মুহুর্তে ঘটে ছিনতাইয়ের ঘটনা। ছিনিয়ে নিয়ে যায় দামী মোবাইল। এভাবে সোনাপুর কাটপট্টি রোড, মতিপুর রোড, কালিতারা রোডে সঙ্ঘবদ্ধ চক্র চালায় চুরি ও ছিনতাই। নাম প্রকাশ না করার সর্তে স্থানীয় এক পান দোকানী বলেন, সরকার পতনের পর থেকে সোনাপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসা রোডে ছিনতাইকারী চক্র অনেকটা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জানাযায়, যুবদল কর্মীর পরিচয়ে স্থানীয় বাপ্পি ও রিপন গং দিচ্ছে সঙ্ঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের নেতৃত্ব। নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল্লাহ আল ফারুক দৈনিক নোয়াখালী কথাকে জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা বাড়াতে হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..