জাহিদ খান (কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)
অদ্য ২৮ নভেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: গোলাম ফেরদৌস সোনাহাট স্থল বন্দর এলাকায় সকাল ৮.০০ ঘটিকা থেকে রাত ১২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করেন।
এই আদেশ জারি করার ঘটনা প্রবাহ অনুসন্ধান করে জানা যায়,গতকাল ২৭ নভেম্বর রোজ বুধবার বিগত সরকারের সময় আওয়ামী বলয়ের সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কারক সমিতি ভেঙ্গে দিয়ে স্থানীয় প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আবু তাহের ফারাজী।
ঘটনার সূত্রপাত এর পর থেকেই।এই কমিটি কেও মানতে নারাজ জেলা বি এন পি র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমর্থিত স্থানীয় বি এন পি র এক অংশ।তারা আজ সকাল ১১.০০ ঘটিকায় সোনাহাট স্থল বন্দরে বি এন পি র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহেব কে প্রধান অতিথি করে সমাবেশের ডাক দেয়।
অপর দিকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তিলাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহিন শিকদার সোনাহাট স্থল বন্দরের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির পক্ষ নিয়ে এই সমাবেশের বিপক্ষে একই সময়ে একই স্থানে সমাবেশের ডাক দেন।
উভয় পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি সমাবেশ কে ঘিরে সোনাহাট স্থল বন্দর এলাকা থমথমে অবস্থা সৃষ্টি হয়।
এমতাবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: গোলাম ফেরদৌস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
উল্লেখ্য - ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থল বন্দর দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ হতে পাথর ও কয়লা আমদানী করা হয় এবং সরকারি রাজস্ব আয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এই স্থল বন্দর টি।
এলাকার সুধীমহল মনে করেন স্থল বন্দর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখে।এখানে দলীয় প্রভাব বিস্তার করতে চাওয়া বা অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করা কারোই কাম্য নয়।প্রকৃত ব্যবসায়ী দের নিয়ন্রনে ব্যবসা বান্ধব কমিটি সকলেই কামনা করে।
এ জাতীয় আরো খবর..