মোঃ নোমান সৌদি
আরব প্রতিনিধি
জেদ্দায় অনুষ্ঠিত আইপিএলের নিলামে সঞ্চালক মল্লিকা সাগরের পাশে সৌদির যুবরাজ সৌদ বিন মিশাল আল সৌদ।
বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এর মধ্যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) জনপ্রিয়তায় প্রথম কাতারে থাকবে। গত দুদিন (২৪-২৫ নভেম্বর) টুর্নামেন্টটির মেগা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। দেশটিকে জড়িয়ে আগে থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে দামী ও বর্ণাঢ্য টুর্নামেন্ট আয়োজনের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এবার সৌদির প্রিন্স সৌদ বিন মিশাল আল সৌদ সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন।
২০২৫ আইপিএলের মেগা নিলাম অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন এই সৌদি যুবরাজ। তিনি একইসঙ্গে সৌদি আরব ক্রিকেট ফেডারেশনের (এসএসিএফ) চেয়ারম্যানও। সৌদিতে ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামী টুর্নামেন্ট’ আয়োজনের দাবিতে প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন সৌদ বিন মিশাল। তিনি এ ধরনের কোনো লিগ আয়োজনের পরিকল্পনাও নেই বলে নিশ্চিত করেছেন।
আইপিএলের নিলাম চলাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুবরাজ সৌদ বিন মিশাল জানিয়েছেন, ‘এটি (লিগ আয়োজনের খবর) সত্য নয়।’ এমনকি সৌদি আরব আইপিএলে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করছে এবং বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্রিকেট লিগ আয়োজন করতে পারে বলে সব দাবিকেই তিনি মিথ্যা বলে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন।
2034 বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজিত সৌদি আর
যে জন্য অনেক আগে থেকেই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় (পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড) ফুটবলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে দেশটি। সৌদির ক্লাব পর্যায়ের লিগ জনপ্রিয় করতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, নেইমার জুনিয়র, করিম বেনজেমা–সহ অসংখ্য ইউরোপ–কাঁপানো ফুটবলারদেরও তারা কিনে নিয়েছে। এ ছাড়া গল্ফ ট্যুর, ফর্মুলা ওয়ান ও বক্সিংয়ের মতো ইভেন্টেও বিনিয়োগ করছে সৌদি। ফলে ক্রিকেটও তাদের নিশানায় রয়েছে বলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের খবর বেরোয় ২০২৩ সালে। যা নিয়ে এতদিন মুখ খোলেনি দেশটি।
এর আগে সৌদি যুবরাজকে পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম ও ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেনের সঙ্গে উপহার বিনিময় করতে দেখা যায়
এর আগে সৌদি যুবরাজকে পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম ও ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেনের সঙ্গে উপহার বিনিময় করতে দেখা যায়
মরুর দেশটিতে ভবিষ্যতে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিষয়ে সৌদি যুবরাজের ভাষ্য, ‘আইপিএল নিলাম হচ্ছে প্রাথমিক ধাপ। এটি আমাদের কিছু পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। সৌদি সরকার ও (বিসিসিআইয়ের সচিব) জয় শাহ’র সমর্থন ছাড়া এটি সম্ভব হতো না। জেদ্দায় একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে।’ ভেন্যু নির্মাণের সম্ভাব্য ধরা হয়েছে আগামী ২০২৫ সালকে।
সৌদিতে বর্ণাঢ্য ক্রিকেট লিগ আয়োজন সম্ভব না হওয়ার পেছনে আইসিসির একটি নিয়মও রয়েছে। নিয়মানুযায়ী– ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোতে সাধারণত কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর সুযোগ রয়েছে। আইপিএলসহ বিভিন্ন লিগে এ নিয়মে চারজন বিদেশি ক্রিকেটার একাদশে থাকেন। সেই নিয়ম কেবল শিথিল রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে। সৌদিও বসে নেই, তারা ক্রিকেট বাণিজ্য ও সম্প্রসারণে পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছে। আইসিসির টুর্নামেন্টে নিয়মিত স্পন্সর করছে সৌদি আরামকো ও সৌদি ট্যুরিজম।
এ জাতীয় আরো খবর..