আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে আটকদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অপরাধের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। কমিশনার বলেন, এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়। পরে তাকে কারাগারে নেওয়ার সময় প্রিজন ভ্যানে তোলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে। চিন্ময়ের অনুসারীরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই সংঘর্ষ চলাকালে বিকেলে রঙ্গম সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় সরকারি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। অভিযোগ রয়েছে, চিন্ময়ের সমর্থকরাই তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। ছাত্রজীবনে মেধাবী সাইফুল আধুনগর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে দাখিল পাস করেন এবং চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরে আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে আইন পেশায় যুক্ত হন। মৃত্যুর আগে তিনি সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ জাতীয় আরো খবর..