মোঃ রাফসান জানি, স্টাফ রিপোর্টার( ভোলা)
ভোলা দৌলতখান উপজেলার খায়ের হাট বাজারের পাশেই রয়েছে ৩০ শয্যা সরকারি হাসপাতাল কিন্তু নেই কোন ডাক্তার ও নার্স। এই খানে ভোলা সদর উপজেলা, দৌলতখান উপজেলা ও বোরহানউদ্দিন উপজেলা তিন উপজেলা ১লক্ষ মানুষের বসবাস। তাদের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার একমাত্র স্থান খায়েরহাট ৩০ শয্যা সরকারি হাসপাতাল। তবে ডাক্তার ও নার্স না থাকায় গত এক মাস ধিরে ধিরে চিকিৎসা চললেও বর্তমানে দুই সপ্তাহ জুড়ে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে কোন ডাক্তার নেই, নার্স ও স্টাফ থাকলে তারা নেই কর্মস্থলে।হাসপাতালে ৮ জন চিকিৎসক থাকার কথা সেখানে রয়েছে ১ জন ডেন্টাল সার্জন, অন্য পদ গুলো শুন্য। ৩০ শয্যা এই হাসপাতালটিতে ১৬ জন নার্স থাকার কথা সেখানে রয়েছে ৩ জন তাও কর্মস্থলে নেই। কর্মচারী (স্টাফ) ২১ জন থাকার কথা সেখানে ১৬ জন কিন্তু কর্মস্থলে পাওয়া গেছে দুইজন।নার্স ও স্টাফদের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তারা বলছেন ডাক্তার না থাকায় হসপিটালটির চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে আছে সেজন্য আমরা কর্মস্থলে যাচ্ছি না।
খায়ের হাট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বলেন, আমরা প্রতিদিন হাসপাতালে আসি ডাক্তার দেখানোর জন্য কিন্তু এসে দেখি কোন ডাক্তার নাই। আমরা গরীব মানুষ আমাদের কাছে এত টাকা নেই যে আমরা শহরে গিয়ে ডাক্তার দেখাবো, দ্রুত ডাক্তার দেওয়ার দাবি জানিয়েছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
প্রতিদিন বহিঃবিভাগে ১৫০ থেকে ২০০ রুগী সেবা নিতে আসে। ডাক্তার না থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত হয় তারা, তবে হসপিটালে ডেন্টাল সেবাটি রয়েছে বাকি সেবা গুলো বন্ধ থাকায় ফিরে যাচ্ছে তারা।
স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘ ১ মাস ধরে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে, এখানে কোন ডাক্তার আসে না হাসপাতালে স্টাফ ও নার্স থাকলেও তারা হাসপাতালে আসে না,তারা বাসায় বসে বসে বেতন নেয়। আমাদের কারো যদি সমস্যা হয় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গেল ও হাসপাতালে কোন চিকিৎসা মিলে না। এখানে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ মতো রোগী ডাক্তার দেখাতে আসে। কিন্তু ডাক্তার না থাকার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তারা। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় আমাদের এখানে এক লক্ষ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আরফিন রশীদ মুঠোফোনে জানান, আমাদের হাসপাতালে কিছুদিন আগেও দুজন ডাক্তার ছিলো রুগীদের কে চিকিৎসা দেয়া হতো। এখন ডাক্তার না থাকায় ইনডোর এর চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে, ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয় কথা বলেছি আশা করি দ্রুত ডাক্তার দেয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, খায়েরহাট হাসপাতালে ৮ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ১জন ডাক্তার (ডেন্টাল সার্জন) প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে অফিস টাইমে। ডাক্তার না থাকায় সেখানে রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। এ বিষয় নিয়ে আমি কথা বলেছি ।আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..