×
সদ্য প্রাপ্ত:
কুমিল্লা মুরাদনগরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩৭৫০ পিছ ইয়াবাসহ আটক-২ সন্ত্রাসী যেই হোক, তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে: ডা. শাহাদাত হোসেন সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন নির্মাণের কাজ স্থগিত, ভোগান্তিতে সাধারণ রোগীরা জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে খুলনায় ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কুমিল্লায় র‍্যাবের অভিযানে ৮৯৪০ পিছ ইয়াবাসহ আটক-১ পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকরিচ্যুতদের চাকরিতে পূর্নবহালের দাবীতে কুড়িগ্রামে মানববন্ধ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গণ অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরনে স্মরন সভা জমির মূল্যবৃদ্ধিতে নারায়ণগঞ্জের রেজিস্ট্রি অফিসগুলোয় সাফ-কবলা দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধের পথে নাইক্ষ্যংছড়িতে অবৈধ ইট ভাটায় অভিযান ও জরিমানা চকরিয়ায় আইনজীবি সাইফুল ইসলাম আলিফের গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত"
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১১-২৭
  • ৫ বার পঠিত
মো: খালেদ সাইফুল্লাহ ,কমলগঞ্জ
অনেকটা শখের বশে মাত্র ১টি মধুর বাক্স মৌমাছিসহ ৭হাজার টাকা দিয়ে কিনে বাড়িতে রাখেন লিমন ও রিপন। কিছুদিন পর থেকে মধু সংগ্রহ শুরু করেন। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পর্যায়ক্রমে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেন মৌ চাষ। এখন তার খামারে ৫০টার ও বেশি’ মৌমাছির বাক্স আছে। গড়ে তুলেছেন ‘মিষ্টি মৌ-খামার’। বলছিলাম মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার আলেপুর গ্রামের দুই ভাই লিমন ও রিপন এর কথা। মৌমাছি চাষ করে তারা এখন বেশ ভালো আছেন। এলাকায় তারা এখন চৌধুরী বাড়ির ‘মধু লিমন ও রিপন’ নামে পরিচিত।

(২১নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের বাড়িতে রয়েছে আম, জাম, কাঠাল, লিচু, লেবু সহ বিভিন্ন ফলের গাছ । এসব গাছের ফাঁকে ফাঁকে একটু জায়গার মধ্যে রয়েছে কাঠের বাক্স। সেখানে দেখা যায় মৌমাছিঁর আনাগোনা। চলছে মধু আহরণ। আগুনের ধুয়া ব্যবহার করে সেসব বাক্স থেকে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, রিপন পড়াশোনা মোটামোটি শেষ করে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করেন। ছোট ভাই লিমন পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়িতে মধু চাষ করছেন। দুই ভাই শখের বসে প্রথমে ১ বাক্স কিনে মধুর চাষ শুরু করেন। পরে এক এক করে ৫০টা বক্স বাড়ির উঠানের বিভিন্ন স্থানে মাচা তৈরী করে রাখেন। ৪ মাস পর পর মধু সংগ্রহ করেন তারা। প্রতিটা বক্সে ৪-৮ কেজি মধু পাওয়া যায়। প্রতি কেজি মধুর দাম ১৫০০-১৮০০ টাকা বিক্রি করেন। এখন মধুর বাণিজ্যিক চাষের দিকেই মনোযোগী হন তারা। স্থানীয় চাহিদা পুরণ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনলাইনে পাঠান। বছরে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা আয় করেন রিপন ও লিমন।

আরো বলেন, ‘২০১৭ সালে শখের বসে ৭ হাজার টাকা দিয়ে মাত্র ১টি মধুর বাক্স কিনে বিভিন্ন ফুলের মধু সংগ্রহ শুরু করি। দুই ভাই পড়াশোনার পাশাপাশি এখন মধু চাষে এখন ব্যস্ত সময় পার করছি। এখন আমরা বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করছি।

তারা আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ফুল থেকে মধু আহরণ করছি। মধুর চাষ করতে চাইলে আমরা সহযোগীতা করবো। কারো খাটি মধুর  প্রয়োজন হলে আমাদের  কাছ থেকে নিতে পারেন । আমরা বছরে ৪বার মধু সংগ্রহ করি। বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি কেজি ১৫০০-১৮০০ টাকা। বছরে আমাদের আয় হয় ৩ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা।

মধু সংগ্রহকারী মনু মিয়া নামের এক শ্রমিক জানান, আমার বাড়ি কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কানাইদেশী গ্রামে। এই উপজেলার বিভিন্ন খামারে কাজ করেই তার সংসার চলে। ১০ বছর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনি মধু সংগ্রহ করে। মধু চাষ করে অনেক মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন। প্রতি মাসে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে ৫০-৭০টা বক্স থেকে মধু সংগ্রহ করি। আমাকে মানুষ যে মধু দেয় সে মধু বিক্রি করে আমার সংসার চলে।

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়েন্ত কুমার রায় বলেন, ‘কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মধুর চাষ করা হয়েছেন। অনেকে মধু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কেউ মধু চাষের বিষয়ে জানতে চাইলে আমরা সহযোগীতা করে থাকি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat