-ইমতিয়াজ উদ্দীন মিসবাহ, পটিয়া প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের বসবাস। এই উপজেলায় বেড়েই চলেছে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই ও জনজীবনের নিরাপত্তাহীনতা। একের পর এক বেদনাদায়ক ঘটনার সাক্ষী হতে হচ্ছে তাদের, দিশাহারা হয়ে পড়েছেন পটিয়াবাসী।
এক সপ্তাহ আগেই পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা, হজার-দুহাজার টাকাকে কেন্দ্র করে আপন চাচা তার ভাইপোকে খুন করে।
মাত্র কিছু সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলায় আটটি বড় ধরনের চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া প্রায়ই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।
উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে একটি খামার থেকে ১৯টি গরু নিয়ে গেছে ২২ জনের একটি দুর্ধর্ষ ডাকাত দল।
৪ নভেম্বর উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নির্মাণাধীন একটি পোশাক শিল্প কারখানায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে।
৫ নভেম্বর পটিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঘরের তালা ভেঙে স্টিলের আলমারি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণ চুরি করেয়।
৮ নভেম্বর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের রেলস্টেশন বাজারে একটি গণডাকাতির ঘটনা ঘটে।
১০ নভেম্বর রাতে পটিয়া থানার মোড়ে বিসমিল্লাহ ব্যাটারি হাউস থেকে কয়েক লাখ টাকার ব্যাটারি চুরি হয়।
সেই সাথে ডাকাতের ঘাটিতে পরিণত হয়েছে পটিয়া বাইপাস সড়ক। প্রায়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটে এই সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে। স্থানীয়রা জানান সড়কের লাইট নষ্ট থাকায় যেমন ডাকাতদের সুবিধা হয়েছে সেইসাথে বেড়েছে রাতের বেলা এক্সিডেন্ট।
সব মিলিয়ে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন কাটছে অত্র উপজেলার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী সরকারের পতনের কয়েক দিন পর পুলিশ কাজে ফিরলেও তাদের মধ্যে এখনও ভীতি কাজ করছে। অপরাধীদের গ্রেফতার করতে কঠোর না হওয়ায় দিন দিন এখানে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
বাইপাস সড়কের লাইট সমূহ দ্রুত চালু করার অনুরোধ জানান স্থানীয়রা সেইসাথে
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাকে বিবেচনা করে প্রশাসনকে তৎপর হওয়ার আহবান জানান পটিয়াবাসী।