ফেনী প্রতিনিধি: জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফেনীর ফুলগাজির নুরপুর গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ফাতেমা আক্তার নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী নিজের খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনা সাজানোর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় নিরিহ গ্রামবাসী হয়রানির শিকার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে হয়রানীর শিকার গ্রামবাসী এক প্রতিবাদ সমাবেশে এমন অভিযোগ করেন।।
এতে সাবেক ইউপি সদস্য নজির উদ্দিন সিফন বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের আপন ভাসুর আব্দুল করিম থেকে ২০১৬ সালে ১৬ শতক জমি ক্রয় করেন আমিনুর রহমান মজুমদার ওরপে খোকন মজুমদার নামে নুরপুর গ্রামের এক সমাজ সেবক। তিনি ক্রেতা থেকে ওই বছরই জমির দখল বুঝিয়ে নেন এবং স্কুল ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য ৬৪ শতক জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান কাজ করেন। ওই জমিটি অপ দখলে মরিয়া হয়ে উঠে প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা ও তার কতক সহসোগীরা।এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ওই গ্রামের নুর নবী, জুয়েল , কাজল মুন্সী সৌরভ ও বেলাল মুন্সীসহ অনেকে।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৭ এপ্রিল রাতে ফাতেমা তাঁর খড়ের গাদায় আগুন দেওয়া হয় এবং তাঁর মাথায় ব্লেড দিয়ে আচড় দেওয়ার মত সাজানো ঘটনা ঘটায়।পরে এই ঘটনায় তাঁর স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে দিয়ে খোকান মজুমদারসহ ৬ নিরিহ গ্রামবাসীকে মামলার আসামী করে জেল হাজতে নিয়ে হয়রানী করা হয়েছে।
নুরপুর দারুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামেম মাওলানা মোহাম্মাদ নুরুল্লাহ বলেন, গোটা ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হয়েছে।এই ঘটনায় শিক্ষানুরাগী আমিনুর রহমান মজুমদার ও তার দুই ভাগিনা সহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে শুনে হতবাক হয়েছি।বর্নিত ঘটনার সঙ্গে তারা কোন ভাবে জড়িত আছে এমনটা বিশ্বাস করতে পারছি না। কারণ ঘটনার রাতে তাদেরকে মসজিদে দেখছি। মসজিদে থেকে গিয়ে তারা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে তা কোন ভাবে বিশ্বাস করা যায় না। আশা করি নিরপেক্ষ তদন্ত হলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে।
প্রবাস ফেরত ওই গ্রামের ফোরকানুর রহমান বলেন, আমিনুর রহমান মজুমদার তার ভাতিজা সৌরভও তার বন্ধু শিহাব ও সানজিদ ঘটনার সময় আমাদের সঙ্গে স্থানীয় মসজিদে শবে কদরে এবাদতরত ছিলেন। বাহিরে শোর চিৎকার শুনে মসজিদ থেকে বের হতে দেখেছি। এখন শুনছি তারা এই ঘটনার আসামী! পুরো ঘটনাটি রহস্যজনক। একই মসজিদে ইতেকাফে থাকা মজিবুর রহমান প্রকাশ বেলাল মুন্সীকে আসামী করা অমানবিক। পুরো ঘটনাটি সাজানো ঘটনা মনে হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় জিএমহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাকির হোসেন রতন বলেন, প্রবাসী স্ত্রী খড়ের গাদায় কেউ আগুন লাগাতে দেখেনি। তাঁকে কারা তুলে নিলো কিংবা কুপিয়েছে তা কেউ জানে না। ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হয়েছে। এই ঘটনায় আাসামী বেলাল মুন্সী এলাকার একজন প্রবীন রাজনৈতিক। ঘটনার রাতে তিনি মসজিদে এতেকাপে ছিলেন। অপর আসামী খোকন মজুমদার সহ অন্যরা পবিএ শবে কদরের এবাদত বন্দিগিতে তাদের মসজিদে ছিলেন বলে জানতে পেরেছি। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এটা সাজানো ঘটনা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ফুলগাজি থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানায়, ওই মামলার তদন্ত চলছে।তদন্ত শেষ হলে এই নিয়ে তিনি কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..