মনিরুজ্জামান রাসেল
স্টাফ রিপোর্টার (শেরপুর)
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস সোহেল রানা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১,জামালপুর সিপিএসসি,রাজশাহী। ১৮ নভেম্বর সোমবার দিবাগত সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কানাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায় । গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর কানাপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ সানাউল হকের ছেলে মমিন ওরফে মিন্টু( ২৭),সাঈদ মাসুম ওরফে বাবু (২২) ও কালাম মিয়ার ছেলে নাজবুল হক(২০)।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার আমতলা খাসমহল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা (১৯) প্রায় চার বছর পূর্বে তার পরিবারের সাথে রাগ করে অবৈধ পথে ভারত চলে যায় এবং সেখানেই বসবাস করতে থাকে। ভারতে থাকা অবস্থায় সোহেল রানা তার পরিবারের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করেনি। গত ১৮ অক্টোবর সে তার মায়ের মোবাইল ফোনে কল করে জানায়, সে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসবে। কিন্তু গত ২১ অক্টোবর সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মোবাইল থেকে সোহেল রানার গ্রামের বাবু মিয়ার মোবাইলে ফোন করে জানানো হয়, সোহেল রানার রক্তাক্ত মৃতদেহ শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী গারো পাহাড়ের হাতিটিলা পাহাড়ে পড়ে আছে। পরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ময়নাতদন্ত করে। নিহত সোহেল রানার চাচা টুটুলসহ স্বজনরা তার লাশ সনাক্ত করে এবং নালিতাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর র্যাব-১৪ সিপিসি-১ জামালপুর কোম্পানি চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সাথে কয়েকজন জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে র্যাব-১৪, সিপিসি-১,জামালপুর ক্যাম্প ও সিপিএসসি রাজশাহী ক্যাম্প মিলে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে যৌথ অভিযানে ৩ আসামিকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-১৪, সিপিসি-১,জামালপুর কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃআব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধৃত আসামিদেরকে নালিতাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ জাতীয় আরো খবর..