নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তিন ফসলী কৃষিজমির মাটি কাটা বন্ধে চুনোপুটিদের নামে মামলা হলেও, রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে জানা গেছে। সর জমিনে গিয়ে জানা যায় সুরুজ কোম্পানি, সিংগাইর উপজেলার বল ধারা ইউনিয়নের খোলাপাড়া উত্তর পারিল চকের প্রায় অর্ধশত বিঘা তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি কেটে সাগর থেকে মহাসাগরে পরিণত করার পরে ও ধরাছোয়ার বাইরে ।তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি পাচার করতে, ২০ থেকে ৩০ টি দশ চাকার অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে পরিবহনের ফলে, গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে। বলধারা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ বলেন,আর কিছুদিন পরে সাগর দেখতে আর কক্সবাজার যেতে হবে না। সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নে গেলে সাগর থেকে মহাসাগর খুঁজে পাওয়া যাবে।সচেতন মহল তিন ফসলি কৃষিজমির মাটিকাটা বন্ধে ভূমি প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারার বাস্তবায়ন চায়। ১৩ ধারায় বলা আছে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটার শাস্তি দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড । বলধারা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা, মোঃ আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, তিন ফসলী কৃষি জমির মাটিকাটা বন্ধে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন,সিংগাইরে তিন ফসলী কৃষিজমির মাটি কাটা বন্ধে, কিছুদিন আগে দুইজনের নামে মামলা, চারজনকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।সুরুজ কোম্পানি আইনের উর্ধ্বে নয়, তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি কাটলে, সুরুজ কোম্পানি সহ সকল মাটি ব্যবসায়ী কে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..