শায়েক আহমদ, কক্সবাজার:
কক্সবাজারের রামু থানাধীন খুনিয়াপালং এলাকায় এক সন্তানের জননী এবং ৪ মাসের অন্তস্বত্ত্বা জান্নাতুল ফেরদৌস (২৫) কে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত ০৬ মে ২৪' খ্রীঃ তারিখে ইব্রাহিমের নিজ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয় জান্নাতুলের লাশ। সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় নিহত জান্নাতুলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন বলে জানা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় নিহত জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে ইব্রাহিমের প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো ফলে জান্নাতুল সাংসারিক ভাবে অশান্তিতে থাকতো বলে জানান জান্নাতুলের পরিবারের লোকজন। জান্নাতুল নিহতের পূর্বে রাতভর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয় বলে জানান প্রতিবেশীরা।
জান্নাতুল নিহতের ঘটনায় রামু থানায় একটি অপমৃত্যু দায়ের করা হয়েছিল যে মামলাটির বাদী ছিলেন জান্নাতুলের মা আমিনা খাতুন। জান্নাতুলের মা সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ এবং বৃদ্ধ হওয়ায় মামলা সম্বন্ধে তাহার কোন ধারণা ছিলোনা। থানায় যে অপমৃত্যুর মামলাটি রুজু করা হয়েছে এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না মামলার বাদী জান্নাতুলের মা আমিনা খাতুন। মেয়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর কয়েকমাস পর মাও মারা যায়। অপমৃত্যুর মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে তার মা আমিনা খাতুন এসে দেখে মেয়ের লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে। আরও উল্লেখ থাকে যে জান্নাতুলের মা অপমৃত্যুর জন্য তার মেয়েকেই দোষারোপ করেছেন এবং তার মা আরও বলেন জান্নাতুল নিজে থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে কিন্তু জান্নাতুলের ছোট বোন খায়রুন নাহার বাদী হয়ে কক্সবাজার আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। জান্নাতুলের বোনের সন্দেহ তাকে হত্যা করেছে তার পাষন্ড স্বামী ইব্রাহীম।
জান্নাতুলের নিহতের বিষয়ে জানতে চাইলে তার স্বামী ইব্রাহীম বলেন আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে তাকে কেউ হত্যা করেনি। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে জানতে চাইলে ইব্রাহিম বলেন তার স্ত্রীর অনেক রাগ ছিলো এবং তার সাথে প্রায়সময়ই ঝগড়া করতো। আমার স্ত্রী রাগের বশবর্তী হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান নিহতের স্বামী ইব্রাহীম।
উল্লেখ্য যে নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস চার মাসের অন্তস্বত্ত্বা ছিলো বলে জানান তার পরিবার এবং নিহতের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসায় এখনো সঠিক বিচারের জন্য আদালতের অপেক্ষায় নিহতের পরিবার।
এ জাতীয় আরো খবর..