জাহিদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবের ঘুষ দুর্নীতি নিয়ে জাতীয় দৈনিক সোনালী কন্ঠ পত্রিকা সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে, শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট,আরুয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী (নায়েব) কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন,সেই সাথে জেলা প্রশাসক কে লিখিত আকারে জানিয়েছেন বলে জানা যায় । নিউজ এর মূল ঘটনা ছিল মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী (নায়েব) মো:রাজা মোল্লা, পিতা:মোঃ ফাইজুদ্দিন মোল্লা, গ্রাম: চকমিরপুর, পোস্ট+ থানা :দৌলতপুর, জেলা:মানিকগঞ্জ- এর নিকট ইউনিয়নের যে কেউ খারিজ করতে গেলে বিভিন্ন ভুলভাল ধরিয়ে কোন কোন খারিজ করতে অর্ধলক্ষ, আবার কোন কোন খারিজ করতে লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নিয়ে অট্টালিকা ও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। ভুক্তভোগী ১/ সুনীল কুমার দাস,পিতাঃ সুরেন কুমার দাস, গ্রামঃনালী, ইউনিয়নঃ আরুয়া, থানাঃ শিবালয়, জেলা মানিকগঞ্জ-বলেন আমি খারিজ করতে গেলে, নায়েব মোঃ রাজা মোল্লা বিভিন্ন ভুলভাল ধরিয়ে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং বলেন মোটা অংকের টাকা ঘুষ না দিলে আপনার জমি খারিজ হবে না,নিরুপায় হয়ে অনেক কাকুতি মিনতি করে ৬৫০০০ /পঁয়ষট্টি হাজার টাকা ঘুষ দিলে আমার খারিজ হয়। ভুক্তভোগী ২/মোঃ হামেদ প্রামানিক,পিতা:মোকসেদ প্রামানিক, গ্রাম :ধুতরা বাড়ি, ইউনিয়ন :আরুয়া, থানাঃশিবালয়, জেলাঃ মানিকগঞ্জ -বলেন আমি একজন দিনমজুর শ্রমিক,পাঁচ শতাংশ জমি খারিজ করতে গেলে নায়েব মোঃ রাজা মোল্লা ৮ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন, ৮ হাজার টাকা না দিলে, কোনভাবেই খারিজ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ধার দেনা করে ৮ হাজার টাকা দিলে খারিজ করে দেন। ভুক্তভোগী ৩ /প্রশান্ত কুমার দাস, পিতা-মৃত রবীন্দ্রনাথ দাস, গ্রাম নালি, ইউনিয়নঃআরুয়া, থানাঃশিবালয়, জেলা: মানিকগঞ্জ -বলেন ২১ শতাংশ জমি খারিজ করতে গেলে নায়েব মোঃ রাজা মোল্লা আমার নিকট ও মোটা অংকের টাকা ঘুষ দাবি করেন,মোটা অংকের টাকা ঘুষ না দিলে আপনার জমির খারিজ হবে না।আমি নিরুপায় হয়ে অনেক অনুরোধ করে ২৫ হাজার টাকা ঘুষ দিলে খারিজ করে দেন। ভুক্ত ভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা তার সম্পদের অনুসন্ধান করতে গেলে সরজমিনে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে , নায়েব মোঃ রাজা মোল্লা তিন তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার নিজের গ্রামের সাধারণ মানুষ বলেন,নায়েব মোহাম্মদ রাজা মোল্লার বাবা ফাইজুদ্দিন মোল্লা একজন প্রাইভেট শিক্ষক ছিলেন, এই ধরেন ক্লাস থ্রি ফোর এর বাচ্চাদের প্রাইভেট পরিয়ে কোনভাবে দিন জীবন যাপন করছেন, আর এখন তার ছেলে নায়েব মোঃ রাজা মোল্লার চকে অনেক জায়গা জমি, বাড়িতে তিন তলা বিল্ডিং দৃশ্যমান,শুনেছি এবং জেনেছি চাকরির সুবাদে নায়েব মোঃ রাজা মোল্লা মানিকগঞ্জে থাকলেও, পরিবার রেখেছেন ঢাকায়, আল্লাহ জানেন ব্যাংক ব্যালেন্স সহ ঢাকায় কি পরিমান সম্পদ করেছেন, আমরা তো বলতে পারব না,তবে দুদকের তদন্তে বেরিয়ে আসতে পারে নায়েব মো রাজা মোল্লার সম্পদের পাহাড়।আমরা দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের বলেন, এরকম ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ নায়েব মোঃ রাজা মোল্লার শাস্তি সহ চাকুরী হতে অব্যাহতি চাই।সাংবাদিকদের ধারনা খুব শিঘ্রই তদন্ত কমিটি গঠন হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..