রোকন বিশ্বাস ও হৃদয় হোসেন-সদর প্রতিনিধি(পাবনা) প্রতিনিধিঃ
পাবনায় বেশির ভাগ আবাসিক হোটেল গুলেতে জমজমাট পতিতা ব্যবসা বেশ সাফল্যের।দূর দূরান্ত থেকে আসা বর্ডারদের চেয়ে এখন পতিতা ব্যবসা বেশ জমে উঠেছে।এরই মধ্যে গতকাল শনিবারে আবাসিক হোটেল লাকীতে সন্ধ্যার দিকে একটা ছেলে মেয়ে রুমে ৩২ নাম্বার রুমে প্রবেশ করে।গভীর রাতে মেয়েটির উপরে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়।পাশের রুমের এক বর্ডার বুঝতে পারে ঐ রুমে কাউকে মারধর করা হচ্ছে এমন শব্দ শুনে ম্যানেজারকে জানালে রুম খুলতে না খুলতেই মেয়েটিকে রেখে ছেলেটি পালিয়ে যায়।এ সময় হোটেল ষ্টাফ একজন মেয়েটিকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য জরুরি ভাবে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসক দেখার পর রাজশাহী মেডিক্যালের উদ্দেশ্য রেফার্ড করে।এ সময়ে মেয়েটির অবস্থা আশংকাজনক হলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর শিক্ষার্থীরা খবর পেয়ে মেয়েটিকে এসোর্ট স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা করার উদ্দেশ্য নিয়ে আসে এবং আই,সি,ইউতে ভর্তি করে।এখন পর্যন্তও আই,সি,ইউ,তে আছে কিন্তু পরিচয় জানা যায় নাই।এরই ধারাবাহিকতায় পাবনা আশপাশের আবাসিক হোটেল গুলোতে সংবাদের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করলে টার্মিনাল এলাকায় বলাকা হোটেলে ৫ জন যৌনকর্মীর সন্ধ্যান পাওয়া যায়।এতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাহায্য সহযোগিতায় এই সকল যুব সমাজ ধ্বংসের কারিগর আবাসিক হোটেলে পতিতা মেয়েদের ঘেরাও করে থানায় খবর দিলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এসে যৌনকর্মীদের গ্রেফতার করে।এতে যৌনকর্মীদের ঠিকানার সন্ধ্যান মেলে সুজানগর উপজেলার একজন,চাটমোহর উপজেলার একজন,পাবনা সদর উপজেলার একজন,খুলনা জেলার একজন এবং ঢাকা থেকে আসা একজন যৌনকর্মী।পাবনার গুলো এই পতিতা পেশায় নতুন ভাবে যুক্ত হয়েছে বাকি দুজন যৌনকর্মী হিসাবে কয়েক বছর ধরে কাজ করছে।পাবনায় এই যৌনকর্মীদের আবাসস্থল যদি আবাসিক হোটেল না হতো তাহলে এদের মত পতিতার স্থান সুনামধন্য জেলা পাবনা আজকে সমাজের কাছে কলংকের বোঝা বয়ে বেড়াতো না।
স্থানীয় দোকানদাররা জানান,এই সকল যৌনকর্মীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ,কাজে কর্মে বাধা প্রাপ্ত হই।আমাদের কারখানার শ্রমিকেরা কাজ ফেলে রেখেই সুন্দরী সুন্দরী যৌনকর্মীদের রুমে আড্ডা দেওয়া ও অবাধে মেলামেশা করে যা আমাদের কাজের পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্ষতি হয়।
তারা আরো বলেন,যুব সমাজ যে ভাবে ধ্বংস হচ্ছে এদের জন্য এটা বলার কোন ভাষা নেই।এতে আবার বেশিক্ষণ মেলামেশা করার জন্য এক প্রকার ঔষধ বা সিরাপ বের হয়েছে এইটা সেবন করেই চলে এই সকল অপকর্ম।এখানে অনেক ছাত্রও আসে মনের চাহিদা মেটাতে আমরা প্রতিবাদ করতে পারি না।হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষ অনেক বড়লোক ও ক্ষমতাশালী মানুষ প্রতিবাদ করলেই নিজের ক্ষতি ছাড়া লাভের আশা করা সম্ভব না।
যৌনকর্মীরা জানান,আমাদের কাছে অনেক ধরনের লোকজনই আসে।এতে আমাদের টাকার চাহিদা পূর্ণ হয়।টাকা উপার্জন করার জন্য এই পথ ছাড়া তো অনেক উপায় আছে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি করলে তাদের কাছে কোন প্রকার উত্তর পাওয়া যায় না।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়,পাবনায় বেশির ভাগই আবাসিক হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষরা বেশির ভাগই ধনী ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ।তাদের এই ব্যবসার টাকায়ই মনে হয় সংসার চলে।সম্মানের ক্ষতি আজকে কতটা হলো হয়তো তারা বুঝতে পারছে।পাবনায় এই ধরনের অপকর্ম করার আর একটাও যেন কারখানা না গড়ে ওঠে এটা আমাদের পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি।প্রতিটা মানুষেরই মা বোন আছে এই দিকটা লক্ষ্য রেখেই চলবে প্রশাসনের লোকেরা।আমরা আজকে পাবনাবাসী লজ্জিত বাংলাদেশের সকল সাধারণ মানুষের কাছে।মুন হোটেলে দেহ ব্যবসা হচ্ছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সত্যতা নিশ্চিত করতে গোপন ক্যামেরা নিয়ে চারজন সাংবাদিক নিজেদের নাম ঠিকানা গোপন রেখে হোটেলের ম্যানেজারের সাথে কথা বললে জানায়,আমাদের দিতে হয় ৫শত টাকা আর খুশি হয়ে ২শত টাকা দেয় মেয়েদের,এটাই তাদের উপার্জন।এতে যদি সারা দিনে ১০টা কাষ্টমার আসে তাহলে ২হাজার টাকা হয়।আমাদের ম্যানেজার কাষ্টমার ভেবে বারবার বলছিল আপনারা কাজ করবেন কি?এতে আমরা কোন উত্তর না দিয়ে চুপ করে বের হয়ে আসি আর গোপন ক্যামেরা দিয়ে সকল তথ্য ভিডিও করে নিয়ে আসি।এই সময়ের মধ্যেই ম্যানেজার বাবুর আচার আচরণ খুবই বিপদজনক ও ক্ষমতার বলে কথার ধরণ ও অন্য রকম যা নিজ চোখে না দেখলে বোঝা যায় না।
এ জাতীয় আরো খবর..