আজিজুর রহমান, চুনারুঘাট হবিগঞ্জ:
চুনারুঘাট উপজেলায় খোয়াইও সুতাং নদীর পানি মাঠে প্রবেশ করায় কৃষকের রোপা আমন আবাদের জন্য ৯৫০ হেক্টর বীজতলা তলিয়ে যায় । পানি কমছে কিন্তু কৃষকের দিশেহারা রোপা আনম যাহা আবাদ করা হয়ছিল ৫০ ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে বীজের জন্য কৃষক এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছে
কয়েকদিনের বৃষ্টি ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পানি নদীর বাঁধ উপচে ধানের বাড়ি ঘরে প্রবেশ করছে
সোমবার (২৬ আগস্ট) পর্যন্ত কৃষকদের রোপা আমন আবাদের জন্য তৈরি করা জায় ৯৫০হেক্টর বীজতলা তলিয়ে গেছে বন্যার পানিত থো কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ১০টি ইউনিয়ন ও একমাত্র পৌরসভায় তৈরি করা মোট ৯৫০ হেক্টর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন বলেন আমাদের আমন এক পশলা অর্ধেকের উপরে লাগানো হয়েছে বন্যার আগে 'অতিরিক্ত মূল্যে সার-বীজ ক্রয় করে বানানো বীজতলা রোপা আমননষ্ট হয়েছে এখন অর্থনৈতিক লোকসান পড়তে হচ্ছে । যে সময়টিতে রোপা আমন বীজতলা তলা নষ্ট হয়ে গেল দ্বিতীয় দফায় বীজতলা তৈরি এবং আবাদ করা দুঃসাধ্য। চলতি মৌসুমের রোপা আমন চাষ হুমকিতে পড়েছে।
কৃষক রবিউল মিয়া জানান, তিনি গত ১৫আগস্ট ৭ খানি জমি বিনা-৪৯ জাতের আমন ধান বপন করেছিল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে তিনি আরও বলেন তৈরি করা বীজতলা পানিতে তলিয়ে যায়।
কৃষক তুরাব আলী বলেন তিনি সাড়ে ৫ খানি জমি বিনাঃ ৪৯ জাতের রোপা আমনের আবাদ করে ছিলেন বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েযায় ঝলা (বীজ) নেই কি করব উপায় পাইতেছি না, ধান না লাগাইলে কি খাইবো । কৃষক কুতুবউদ্দিন বলেন আমাগো সব নষ্ট কইরা গেল বন্যায় সরকারকে বল কিছু দিতে ।
চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন একমাত্র পৌরসভায় মৌসুমে ৮হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল। এজন্য ৯৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ হেক্টর তলিয়ে যায় এবং নষ্ট হয়। এবন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৫ নং শানখলা ইউনিয়ন রোপা আমন শতভাগই নষ্ট হয়ে গেছে ।
এ জাতীয় আরো খবর..