×
সদ্য প্রাপ্ত:
উপদেষ্টা পরিষদের ত্রয়োদশ বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ আমরা যেন সমালোচকদের কণ্ঠরোধ না করি: প্রেস সচিব নিউ বসুন্ধরার অর্থ আত্মসাৎ, গ্রাহকের ৮১ কোটি টাকা ফেরতের দাবি —খুলনা জেলা প্রশাসক নিকট স্মারকলিপি প্রদান পুলিশের নতুন আইজিপি বাহারুল আলম কেসিসি’র অপসারিত কাউন্সিলর ডনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা আমতলীতে বিএনপি অফিসে হামলা ও ভাংচুর। বাঁধা দেয়ায় ২ জনকে কুপিয়ে জখম আ.লীগ রাজনীতি করবে কি না ঠিক করবে দেশের জনগণ ফেনীতে :মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগ'কে পূর্নবাসনের সুযোগ দিব, এটি সঠিক নয়- ফেনীতে মির্জা ফখরুল। এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি পুলিশে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ডিআইজি সুব্রত কুমার কারাগারে ।
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১১-০৭
  • ৭৫ বার পঠিত
সিংগাইর, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরে প্রবাসী উজ্জল মিয়া (৩৫) হত্যার কান্ডের ২৬ দিন পর হত্যার সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে, গত ১২ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১ টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ হন।এর ১৮ দিন পর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের কাংশা সেতুর নিচে উজ্জল মিয়ার মরদেহ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার এবং শনাক্ত করে।

বৃহস্প্রতিবার, (৭ নভেম্বর) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ বশির আহমেদ বলেন, সিংগাইর উপজেলার প্রবাসী উজ্জল মিয়া বাড়ীতে আসার ৯ দিন পর গত ১২ অক্টোবর রাতের দিকে বাড়ী হতে নিখোঁজ হয়।নিখোজেঁর ১৮ দিন পর গত ৩০ অক্টোবর দুপুরে তালেবপুর ইউনিয়নের কাংশা ব্রীজের পশ্চিম পাশে ধলেশ্বরী নদীর দক্ষিণ পাশে মোহাম্মদ আলীর আবাদি জমি সংলগ্ন নদীতে পানিশূন্য কচুরিপানার মধ্যে মাটিভর্তি প্লাস্টিকের ড্রামের সাথে লাইলনের রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, হত্যা মামলা রুজু হওয়ার পর মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ বশির আহমেদের দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ)মোঃ আব্দুল ওয়ারেস তত্ত্বাবধানে ও অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বিপিএমের নেতৃত্বে একটি টিম ৬ নভেম্বর উত্তর কাংশা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে এই ক্লুলেস হত্যা মামলার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ভিকটিম উজ্জল মিয়ার আপন ছোট ভাই আসামী মোঃ ঝন্টু (২৪), ভিকটিম এর স্ত্রী আসামী মোসাঃ কাঞ্চন ওরফে মনিরা(২৩), ও মাসুদ(২২)কে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি হালকা গোলাপী রংয়ের ওড়না , একটি হালকা বেগুনী রংয়ের প্রিন্টের সুতি ওড়না, একগোছা নাইলনের চিকন রশি, একটি চায়র কাপ, নগদ বাংলাদেশী ৮ হাজার ৫শত-টাকা, একটি হাসুয়া, একটি গামছা উদ্ধার পূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন।উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতার পরবর্তীতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, আসামী মোঃ ঝন্টু ও কাঞ্চনা ওরফে মনিরা সম্পর্কে দেবর-ভাবী। আসামী ঝন্টু ও তার আপন বড় ভাই উজ্জল মিয়া উভয়েই সিংগাপুর প্রবাসে থাকাকালে আসামী ঝন্টু মোবাইল ফোনে তার ভাবী আসামী কাঞ্চন ওরফে মনিরার সাথে কথা বার্তা বলার একপর্যায়ে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরকিয়া সম্পর্কের জের ধরে ঝন্টু তার ভাইকে সিংগাপুরে রেখে বাড়ীতে চলে এসে তার ভাবী কাঞ্চন ওরফে মনিরার সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত থাকে। ঘটনার ০৯ দিন পূর্বে আসামী ঝন্টুর ভাই সিংগাপুর হতে বাড়ীতে আসলে ঝন্টু ও কাঞ্চন ওরফে মনিরা দ্বয়ের অবৈধ পরকিয়ায় বিঘ্ন ঘটতে থাকে। যার প্রেক্ষিতে উল্লেখিত আসামীরা উজ্জল মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পূর্ব-পরিকল্পনা মাফিক ১২ অক্টোবর দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে আসামী কাঞ্চন ওরফে মনিরা কফির সাথে তার স্বামীকে ঘুমের ঔষধ সেবন করিয়ে অচেতন করে। অতঃপর, আসামী ঝন্টু তার বন্ধু আসামী মাসুদকে ইমুতে কল করে বাড়ীতে ডাকে। মাসুদ আসার পর তিনজনে মিলে ভিকটিম উজ্জল মিয়াকে অচেতন অবস্থায় গলায় গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করে।

তারপর আসামীরা লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে উজ্জল মিয়ার মৃতদেহ বাঁশের সাথে বেঁধে ঘটনাস্থল ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে নিয়ে যায়।আসামী মাসুদ তার বাড়ী হতে নীল রংয়ের প্লাস্টিকের ড্রাম ও ধারালো হাসুয়া নিয়ে নদীর পাড়ে এসে ড্রামে কাদা মাটি ভরে ড্রামের সাথে রশি দিয়ে উজ্জল মিয়ার মৃতদেহ বেঁধে লাশ নৌকায় উঠিয়ে নদীর দক্ষিণ পাশে নিয়ে হাসুয়া দিয়ে লাশের বুক চিড়ে লাশ নদীর পানিতে ডুবিয়ে গুম করে। তিনি আরোও বলেন, গ্রেফতারকৃত ৩ জন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat