রানা আহমেদ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
সারাদেশে মত গাইবান্ধায় কোটা বিরোধী আন্দোলন চলমান। তারই ধারাবিকতায় আজ গাইবান্ধা কয়েক ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ পালটা বিক্ষোভ, ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় একপর্যায়ে গড়িয়েছে সংঘাতে। বিগত কয়েকদিন কোঠা বিরোধী আন্দোলনকারী ছয় জন মৃত্যুর জের ধরে বুধবার (১৭ই জুলাই)গাইবান্ধায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী শহরের বড় মসজিদে কাছ থেকে ,বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিলটি পুলিশ সুপার কার্যালয় সামন থেকে ঘুরে পুরাতন বাজারের সামনে এসে শেষ করেন। পরে আবার ঘুরে রেলগেটে এসে অবস্থান নেয়। তার বিপরীতে পুলিশ অবস্থান নেয় ট্রাফিক পড়ে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অবস্থান নেয় গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে। পুলিশ বেষ্টনীর ভিতরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে বেলা ১২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের উভয়পক্ষ উত্তেজনা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উত্তেজনায় এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর নেতাকর্মীদের মারধর ও ১০থেকে ১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগ করেন। এ সময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংঘর্ষে পুলিশও জড়াই। এ সময় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকশো আন্দোলনকারী ও নেতৃবৃন্দ। এর মধ্যে ২০ জন সাংবাদিক কয়েক শত শিক্ষার্থী সহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পদের ও গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মতলবুর রহমান, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান রিংকু,সহ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আহত হন। দুপুর একটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদীক্ষীন করে পৌর পার্কে এসে শেষ হয় ।
পুলিশের লাঠিচার ্ টিয়ার গ্যাস ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করার চেষ্টা করে। এ সময় সবগুলো সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। শহরে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজমান।
এ জাতীয় আরো খবর..