আবুল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:
প্রমত্তা, পদ্মা- যমুনায় অবৈধ ভাবে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার ও কাটার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে রাজবাড়ী, পাবনা, মানিকগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাল্কহেড দিয়ে বালু বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এই চক্রের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গ, মূল হোতা অধরায় রয়ে গেল। জানা গেছে, মাসুদ চৌধুরী সাঈদ দৈনিক সময়ের কাগজ পত্রিকার মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ও দেওয়ান আবুল বাশার দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি। দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত কল্মিপাড়া, বামন দিয়া, কাশিদয়ারামপুর অঞ্চলের যমুনার ভাঙ্গন এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দেখতে পায় সরকারি আইন অমান্য করে ৩টি কাটার মেশিন ও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে বাল্কহেড ভর্তি করছে। এ অবস্থায় জাতীয় স্বার্থে সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কাটার ও ড্রেজার মেশিনের ছবি তুলতেই বালু খেকো সন্ত্রাসীরা রামদা, হাইসা, লাঠি সোটা নিয়ে দুই সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মাসুদ চৌধুরী সাঈদ গুরুতর আহত হয়ে পড়ে ও তার ডান হাত ভেঙে ট্রলারে পড়ে যায়। অন্যদিকে সাংবাদিক দেওয়ান আবুল বাশার পালিয়ে নিজের শেষ রক্ষা পায়। পরবর্তীতে চিকিৎসার কথা বলে যমুনা নদীর মাঝখানে নিয়ে "মোস্ট ওয়ান্টেড" তোফাজ্জলের নেতৃত্বে সাংবাদিক মাসুদ চৌধুরী সাঈদকে নানা রকম হুমকি-দামকি ও অমানবিক নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক মাসুদ চৌধুরী সাঈদকে মেরে ফেলার চিন্তা করলেও পরে ৪টি মোবাইল ও একটি ডি এস এল আর ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে নদীর পাড়ে ফেলে চলে যায়। আবুল বাশারের সহযোগিতায় সাংবাদিক আল মামুন এসে সাংবাদিক মাসুদ চৌধুরী সাঈদকে ঘিওর সরকারে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে কর্মরত ডাক্তার হাত ভেঙে যাওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। উল্লেখ্য সাংবাদিক মাসুদ চৌধুরী সাঈদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ দৌলতপুর থানায় আমলী আদালত, মানিকগঞ্জ আটজনকে আসামি করে দন্ড বিধি আইনে ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬(২)৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেন। আসামিগণ দৌলতপুর উপজেলার বাগুটিয়া এলাকার মৃত সন্তোষ মন্ডলের পুত্র তোফাজ্জল, পারুরিয়ার আওলাদ ভাদুড়ীর পুত্র আইয়ুব, চরকালিকাপুর এলাকার আব্দুস সাত্তার মোল্লার পুত্র গোলাই, রাহাতপুর পয়লার আব্দুর রহম মন্ডলের পুত্র নুরুজ্জামান, রাহাতপুরের রূপচাঁদ মন্ডলের পুত্র মুক্তার, কাশিদয়ারামপুর গ্রামের মৃত খালেক সরদারের পুত্র আলমগীর, ব্রাহ্মন্দীর মৃত সিদ্দিক শেখের পুত্র রুশনাই ওরফে সোনা মিয়া সর্বসাং বাঘুটিয়া ইউনিয়ন ও পারুরিয়ার ইসলাম মোল্লার পুত্র ফিরোজকে আসামি করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, এই চক্রটি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত। এই চক্রের বিরুদ্ধে এলাকাতে কেউ টু শব্দ করতে সাহস পায় না। আরো জানা গেছে, এই চক্র সাংবাদিক ও পুলিশ দেখলেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। যে সকল সাংবাদিক এই ঘটনার সংবাদ প্রতিবেদন করছে তাদেরকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এই সাংবাদিকরা সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।আসামী দের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য সাংবাদিকরা খুব শীঘ্রই মানববন্ধন করবেন বলে জানা যায়।
এ জাতীয় আরো খবর..