নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের নান্দাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এনামুল হককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার মূলহোতা আবুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাব ১৪ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহিদ হাসান জানান, ময়মনসিংহের নান্দাইলে ভাটী চারিয়া গ্রামে নিহত এনামুল হকের সাথে আসামী আবুল ইসলামদের মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছিল। গত ১৩ ই মার্চ বুধবার দুপুরে আবুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় ১০ জন হাতে রামদা, বল্লম, লোহার টেডা, লোহার রড, ও বাঁশের লাঠি নিয়ে বাদীর বসতবাড়ীর উঠানে এসে বাদী মজিবুর রহমান, তার ভাই সাক্ষী ফারুক মিয়া এবং ভিকটিম এনামুল হক'কে গালিগালাজ করতে থাকে। তখন, বাদী এবং তার ভাইয়েরা প্রতিবাদ করলে আসামি আবুল ইসলাম সহ অন্যান্য আসামিরা ভিকটিম এনামুল হকের মাথায়, হাতে এবং চোখের নিচে কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। বাদীসহ তার অপর ভাই সাক্ষী ফারুক মিয়া ও বাদীর স্ত্রী লিপি আক্তার ভিকটিম এনামূল হক'কে বাঁচানোর জন্যিএগিয়ে আসলে আসামিরা বাদীর ভাই সাক্ষী ফারুক মিয়া এর মাথা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। আসামিরা বাদী এবং তার স্ত্রী লিপি আক্তার'কে মারপিঠ করে জখম করে। পরে, বাদী স্থানীয়দের সহায়তায় ভিকটিম এনামুল হক এবং জখমী সাক্ষী ফারুক মিয়া সহ অন্যান্যদের উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম এনামুল হক কে মৃত ঘোষণা করেন এবং জখমী ফারুক মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ঘটনায় ময়মনসিংহের নান্দাইল থানা এলাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোঃ মজিবুর রহমান নান্দাইল থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অধিনায়ক র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ মহোদয়ের নির্দেশক্রমে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোঃ আশরাফুল কবির, র্যাব-১৪, ব্যাটালিয়ন সদরের উপ-পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন ও র্যাব- ১৪. সিপিএসপি এর স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মুহাঃ জাহিদ হাসান এর নেতৃত্বে একটি যৌথাভিযানিক দল ইং ১৫ মার্চ মধ্যরাতে কিশোরগঞ্জের চৌদ্দশত পশ্চিমপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামি আবুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..